এমপি ইলেন’র সমর্থক বিএনপির আরো দুই নেতা লাঞ্ছিত ॥ বিএনপিতে তোলপাড়

ঝালকাঠি অফিস: সংস্কারবাদী  হিসেবে নেতা হিসেবে পরিচিত ও বিএনপি দলীয় ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভূট্টোকে দলীয় নেতা কর্মী দ্বারা লাঞ্ছিতের পর এবার আরো দু’নেতা লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছেন। কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতা বরিশালের মমিন সিকদারের হাতে ঝালকাঠি বিএনপির তৎকালীন প্রভাবশালী ঠিকাদার আজিজ খলিফা ও অনাদি দাস প্রহৃত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে বিনয়কাঠিতে জেলা বিএনপি নেতা সরদার এনামুল হক এলিনের পিতার শোকসভা শেষে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মোমিন সিকদার তাদেরকে সংস্কারবাদী হিসেবে প্রহৃত ও লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় দলীয় কিছু নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও ইলেন ভূট্টো ঘরনার নেতা হওয়ায় প্রতিবাদ জমিয়ে ওঠাতে পারেনি।

জানাগেছে, শুক্রবার দুপুরে ইলেন ভূট্টো নলছিটি নিজ এলাকায় যাবার পথে দপদপিয়ার শিমুলতলা এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় বিক্ষুদ্ব নেতা-কর্মীরা তাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন মন্তব্য করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত দলীয় লোকজন তাকে বহনকারী গাড়ি ও বহরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তার ব্যবহৃত গাড়িটি কাঁচ ভাংচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

ওয়ান ইলেভেন’র আগে মাঠ ছেড়ে ঢাকা ওঠা এ নেতা সংস্কারবাদী আখ্যা মাথায় নিয়ে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় আমির হোসেন আমুর কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান। কিন্তু এর পর তার ব্যক্তিগত ইস্যু নিয়ে মাঠে ব্যাপক তোলাপড় শুরু হলে তিনি এলাকা ত্যাগ করেন। দীর্ঘ ৪-৫ বছর পর এলাকায় তার আগমনের বিষয়টি দলের সাধারন নেতা-কর্মীরা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে না পারার কারনে তার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দলীয় সূত্রে প্রকাশ।

কারন হিসেবে নেতা-কর্মীরা আরো জানান, বিগত জোট সরকারের আমলে তিনি স্বামীর রেখে যাওয়া জাপা ও দলের মুষ্টিমেয় কিছু লোকজনকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন টেন্ডার গুচ্ছ করতেন। সে ক্ষেত্রে তিনি ১০% ভাগ নিয়ে দলের পক্ষে কাজ না করে নিজের আখের গুছিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর নেতাকর্মীদের ওপর মামলা হামলার খোঁজ কবর এমনকি কোন নেতা-কর্মীর সাথে মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করেন নি তিনি। তাই দীর্ঘ দিন পরে ঢাকা থেকে এলাকায় নেতাকর্মীরা ভাগে পেয়ে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

একটি সূত্র জানিয়েছে, নলছিটিতে আজিজ খলিফার নেতৃত্বে সকল ঠিকাদারী কাজ ভাগ ভাটোয়ারা চলতো। আর ঝালকাঠিতে তৎকালীন জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জিয়াউদ্দিন মিজানের নেতৃত্বে জেলার অপর তিন উপজেলার কাজ বাটোয়ারা চলতো।

এ ব্যাপারে অনাদি দাস জানান, মারামারির ঘটনা ঘটেনি, তবে মোমিন সিকদারের লোকজনের সাথে আগে পরে যাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। আমি তাদেরকে থামিয়ে দেই।