উজিরপুরে এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র ধারণ করায় ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

শাকিল মাহমুদ বাচ্চু, উজিরপুরঃ উজিরপুরে এক জেডিসি পরীক্ষার্থীকে রাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে তার চিত্র ভিডিও করায় ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে ওই ছাত্রী বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে তিন বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মাদ্রাসার ছাত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছে ধর্ষণের ঘটনার বিচার না পেলে সে আবারো আত্মহত্যা করবে।

জানা গেছে গত শনিবার সন্ধ্যায় উজিরপুরের মজম গ্রামের জাফর হাওলাদারের কন্যা বাহেরঘাট মাদ্রাসার জেডিসি পরীক্ষার্থী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে বের হলে একই গ্রামের সেলিমের পুত্র রাব্বি জোর পূর্বক মুখ চেপে ধরে পাশের বাড়ির একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই ধর্ষণের ঘটনা রাব্বির দুই সহযোগী উজ্জল ও কুদ্দুস ভিডিও করে। পরে তারাও মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। কোনমতে ছাত্রী তাদের হাত থেকে পালিয়ে এলেও ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়ায় সে ভয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উজিরপুর হাসপাতালে নিলে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীর ভাই নবীন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করলেও নির্যাতিত ছাত্রী জানিয়েছে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যদি জীবনে তার বিয়ে নাও হয় তাহলেও তার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু মানুষরূপী জানোয়ারদের সে বিচার চায়। সে গতকাল সন্ধ্যায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মায়ের সামনে নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। ধর্ষক রাব্বির উপযুক্ত বিচার না হলে সে আত্মহত্যা করে প্রতিবাদ জানাবে যাতে আর কোন কিশোরীর ভাগ্যে তার মত নির্মম ঘটনা না ঘটে।

এদিকে উজিরপুর থানার ওসি সুকুমার রায় মুঠোফোনো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি জেনেছেন ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা। কিন্তু ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন। পুলিশের ধর্ষণ চেষ্টার নেয়া মামলাটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যেখানে নির্যাতনের শিকার ছাত্রী অভিযোগ করেছেন রাব্বি নামক বখাটে তাকে ধর্ষণ করেছে অথচ মামলা হয়েছে ধর্ষণ চেষ্টার।