মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় দু’শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কাছেমাবাদ কামিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সোমবার দুপুরে বখাটেরা হামলা চালিয়ে দু’ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন ধরনের উত্যক্ত করে আসছিলো কাছেমাবাদ গ্রামের সবুজ সরদারের বখাটে পুত্র সোহেল সরদার। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে বিচার দিলে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে উত্যক্তের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীর মামা আনিচ সরদার ও একই মাদ্রাসার কামিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তুর্জন খন্দকার বখাটেদের শ্বাসিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন দুপুর একটার দিকে বখাটে সোহেল ও তার সহযোগী শাহীন সরদারের নেতৃত্বে ৭/৮জন বখাটেরা মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের সম্মুখে বসে অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে তুর্জন খন্দকারকে পিটিয়ে আহত করে। তুর্জনের ডাকচিৎকারে তার চাচাতো ভাই সরকারি গৌরনদী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র আরমান খন্দকার এগিয়ে এলে বখাটেরা তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে প্রদর্শন করে। খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। হামলা ও ছাত্রীকে উত্যক্তের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

একইদিন দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’দল ছাত্রের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় ১৫জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

জানা গেছে, জেএসসি পরীক্ষা শেষে উপজেলা কম্পাউন্ডের একটি রেস্তোরায় বসে পালরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র অমিত হাসান ও সাজ্জাতের মধ্যে সিগারেট খাওয়া নিয়ে বাকবিতন্ডা বাঁধে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অমিত, হিমেল, সাজ্জাত, আলতাফ, মিঠু, রায়হান, রাব্বীসহ কমপক্ষে ১৫জন শিক্ষার্থী আহত হয়।

অপরদিকে পূর্ব শত্র“জার জেরধরে রবিবার রাতে রাংতা গ্রামের আদম আলী ফকিরকে (৩৮) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে মানিক ফকিরের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সফিকুর ও তার সহযোগীরা।