যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে আটকে রেখে নির্যাতন – দুইদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ

গত ১০ মে রোকসনার স্বামী, শশুর ও শ্বাশুড়ী নসিমন ক্রয়ের কথা বলে তার বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য রোকসনার ওপর চাঁপ প্রয়োগ করে। টাকা আনতে অপরাগতা প্রকাশ করায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনে রোকসনার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে। নির্যাতনকারীরা গৃহবধূকে চিকিৎসা না দিয়ে বসত ঘরের একটি কক্ষে তিন মাসের শিশুসহ অনাহারে ২দিন তালাবদ্ধ করে রাখে। বুধবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ রক্তাক্ত জখম অবস্থায় রোকসনাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতিত গৃহবধূ রোকসনার মা রাবেয়া বেগম বাদি হয়ে রোকসনার স্বামী জুয়েল মিয়া, শশুর ফিরোজ মিয়া ও শ্বাশুড়ি অজিফা বেগমকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার এস.আই মোঃ নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের জোড় প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।