আগৈলঝাড়ায় সাজানো সংবাদ সম্মেলনের ব্যর্থ উদ্যোগ

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ শিক্ষকদের চাকুরী বাঁচাতে মামলার বাদীকে হুমকী দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করিয়েছেন আগৈলঝাড়ার ৪টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সংশি¬ষ্ট সূত্রমতে জানা গেছে, উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমীর শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সদস্য পরেশ রায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরর পর থেকে পরেশকে প্রভাবশালী একটি মহল বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল। প্রভাবশালী একটি মহল শিক্ষকদের চাপ প্রয়োগ করিয়ে মামলা প্রত্যাহারের বাধ্য করিয়েছেন।

একারণে উপজেলার আস্কর কালীবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রিয়লাল মন্ডল, বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার বাড়ৈ, বিএইচপি একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রী, ও উপজেলা সদরের এসএম বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নির্মলেন্দু বাড়ৈ নিজেদের চাকুরী বাঁচতে গত ২০ নভেম্বর রাতে মামলার বাদী বিএইচপি একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পরেশ রায়কে রাত ১১টায় বিএইচপি’র লাইব্রেরীতে ডেকে এনে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের আবেদনে স্বাক্ষর নেন। পরের দিন ২১ নভেম্বর কাউকে না জানিয়ে মামলার বাদী পরেশ রায়  বরিশাল আদালতে গিয়ে মামলা প্রত্যাহার জন্য আবেদন করেন। মামলা প্রত্যারের আবেদনের পর থেকে পরেশ রায় অসুস্থ রয়েছেন বলে তিনি জানান। উলে¬খ্য, বিএইচপি একাডেমীর শিক্ষক নিয়োগে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১৬ নভেম্বর বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের ৭দিন পরে মামলার বাদী পরেশ রায়কে প্রভাবশালীদের চাপের মুখে মামলা প্রত্যাহার করতে হচ্ছে। এসংবাদ জানাজানি হলে উক্ত ৪ প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের উদ্যোগ নেন। তাতে বাদী পরেশ কারও প্ররোচনা ছাড়াই মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছে বলে ভাষ্য দেবার কথা থাকলেও সে উদ্যোগকে ভেস্তে দিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পরেশ রায় আগৈলঝাড়া ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান বলে উক্ত শিক্ষকদের সাজানো সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে পরেশ রায়কে চাপ দিয়ে স্বাক্ষর নেবার অভিযোগ খন্ডন করাতে পারলেন না ওই শিক্ষকবৃন্দ।

অভিযোগ রয়েছে, ম্যানেজিং কমিটির প্রভাবশালী সদস্যরা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে আগৈলঝাড়া ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমী হাইস্কুলে ৪জন শিক্ষক নিয়োগ দেন। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে ওই ৪ শিক্ষককে সমন প্রাপ্তির পূর্ববর্তী তারিখে যোগদান দেখিয়ে তাদের নিয়োগ কার্যকর করার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।