চরমোনাইতে ট্রলার ডুবি ॥ নিখোঁজ অর্ধশত ॥ একজনের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চরমোনাইর মাহফিল শেষে মঙ্গলবার সকালে বরিশালগামী শতাধিক মুসুল্লী বহনকারী একটি ট্রলার দুর্ঘটনার কবলিত হয়েছে। কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই ঘাট এলাকায় এম.এল মর্নিং সান নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় দুর্ঘটনা কবলিত হওয়া ট্রলারের ৪০ জন মুসুল্লীকে জীবিত ও মোঃ ইয়াকুব আলী (৬৫) নামের এক মুসুল্লীর লাশ উদ্ধার করা হলেও এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মুসুল্লী নিখোঁজ রয়েছেন।

মাহফিলস্থ অস্থায়ী হাসপাতালের কমান্ডার মাওলানা মোসলেম উদ্দিন জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় আখেরী মোনাজাত শেষে মুসুল্লীরা গন্তব্যে ফিরছিলেন। সকাল ১০ টার দিকে একটি ট্রলার প্রায় শতাধিক যাত্রী বোঝাই করে চরমোনাই ঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এসময় বরিশালগামী মনিং সান নামের একটি লঞ্চ ট্রলারটির মাঝ বরাবর ধাক্কা দিলে নিমিশেই ট্রলারটি কীর্তনখোলা নদীতে ডুবে যায়। এসময় ঘাটে থাকা অন্য লঞ্চ ও ট্রলারযোগে ৪০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও বাকীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রায় আধাঘন্টা পর ট্রলারের যাত্রী মোঃ ইয়াকুব আলীর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। ইয়াকুব আলী যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মাহমুদ কাঠী গ্রামের মৃত জিন্নাত আলীর পুত্র।

ট্রলার দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত মাদারীপুরের সফিউদ্দিন হাওলাদার, মানিকগঞ্জের হারুন-অর রশিদ, ঢাকার লালবাগের আবুল কালাম রাঢ়ী, কুষ্টিয়ার সোনামিয়া, মানিকগঞ্জের আব্দুল কুদ্দুসকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কোতয়ালী মডেল থানার এস.আই হাবিবুর রহমান জানান, দূর্ঘটনা কবলিত ট্রলার ও নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য ডুবুরিদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত (দুপুর আড়াইটা) দূর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।