দাউদকান্দিতে আ’লীগ নেতা মিলন খন্দকার খুন

মাহ্ফুজ ইসলাম (শিপ্লু), দাউদকান্দি ॥ পূর্ব বিরোধের জের ধরে দাউদকান্দি উপজেলা পৌরসভা দোনারচর গ্রামের মৃত রমিজ খন্দকারের পুত্র আ’লীগ নেতা সাবেক কমিশনার মিলন খন্দকার ঢাকা যাওয়ার পথে দোনারচর সরকার বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা আক্রমন করে এলোপাতারী ভাবে কুপিয়ে তাকে খুন করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শি ও পুলিশ জানায়, আ’লীগ নেতা সাবেক কমিশনার মিলন খন্দকার গতকাল রাত ১০টায় দাউদকান্দি থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে পথে দোনারচর সরকার বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা আক্রমন করে এলোপাতারী ভাবে কুপিয়ে জখম করে সে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করে মেইনরোড থেকে ৩শত গজ দুরে তাকে বাচ্চু মিয়ার বাড়ির উঠানে খুন করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে এলহাম হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

ঘটনার সূত্রপাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতুর ফেরী ঘাটে গতকাল সকালে বালু মহালে ট্রাক প্রতি ২শত টাকা চাদা নেওয়ার প্রতিবাদ করে আলআমিন খন্দকার। এর জের ধরে বিকেলে ফারুক খন্দকার ও ডালিম খন্দকারের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী আলামিনকে পিটিয়ে জখম করে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার অভিযোগ থানায় দায়ের করতে গেলে ওসি মামলা নিতে আপক্তি   করলে থানায় বাক-বিতন্ডা হয়। পরে পুলিশ অভিযোগ নিলে দু’পক্ষ থানা থেকে চলে আসে। মিলন খন্দকার বাড়িতে এসে সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এলাকাবাসী মিলন খন্দকারের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টোল প্লাজায় রাত ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে অবরোধ করে রাখে। নিহত মিলন খন্দকারের ২ মেয়ে ১ ছেলে রেখে গেছে। এঘটনায় পুলিশ ফারুক খন্দকারের বাবা কাশেম খন্দকার ও ফরিদ খন্দকারকে আটক করেছে। পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে। এ রিপোর্ট প্রেরণ পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য র‌্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।