সমকাল থেকে পাওয়া তথ্য : পাকিস্তানের অন্তর্জ্বালা!

২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর ইসলামাবাদে বাংলাদেশের তৎকালীন ডেপুটি হাইকমিশনার মোঃ সুফিউর রহমানকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে। পাকিস্তানের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (দক্ষিণ এশিয়া) ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন সংলগ্ন সড়কগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং একটি প্রতিবাদপত্র ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ বিষয়ে ইসলামাবাদে বাংলাদেশের তৎকালীন উপ-হাইকমিশনার সমকালকে গতকাল শুক্রবার বলেন, ”ঘটনাটি সঠিক। আমাকে ডেকে নিয়ে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন গুলশানে যে দুটি সড়ক মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করা হয়েছে তা ‘উদ্দেশ্যমূলক এবং উস্কানিমূলক’। আমি বলেছি ২০০৭ সাল থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গুলশানে সড়ক দুটির নামকরণ করা হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই।”

২০০৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ পাকিস্তান সফর করেন। সফরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর ওপর সর্বশেষ অবস্থান তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। সেই প্রতিবেদনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে গুলশানে পাকিস্তান হাইকমিশন সংলগ্ন সড়কের নামকরণ হওয়ায় পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসিসির মেয়র সাদেক হোসেন খোকা গতকাল শুক্রবার সমকালকে বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। এদেশের কোন রাস্তার কী নামকরণ করা হবে তার এখতিয়ার বাংলাদেশের। বাংলাদেশের যে কোনো রাস্তার নামকরণকে পাকিস্তানকে মেনে নিতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, ভাষাবীর, জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ স্বনামধন্য ব্যক্তিদের নামে ঢাকার বিভিন্ন সড়ককে নামকরণ করা হয়েছে।