বরিশালে পৃথক দুটি দুর্নীতির মামলায় এক সাব-পোষ্টমাষ্টারের ৩৪ বছরের কারাদন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বরিশালে প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সাব-পোষ্টমাস্টারকে পৃথক দুটি মামলায় ৩৪ বছর কারাদন্ড, আত্মসাতকৃত ১৬ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা ফেরত অনাদায়ে আরো ৩ বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শরিফউদ্দিন আজাদ এ আদেশ দিয়েছেন।

আদালতে উপস্থিত দন্ডপ্রাপ্ত মোঃ ফরিদউদ্দিন বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের সাব-পোষ্ট অফিসে সাব-পোষ্ট মাষ্টার হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন দুর্নীতির মাধ্যমে ও প্রতারনা করে উল্লেখিত টাকা আত্মসাত করেন।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, ফরিদ উদ্দিন ১৯৯০ সনের ১ নবেম্বর থেকে ২০০৪ সনের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ভুয়া মানি অর্ডার ইস্যু ও বিলির মাধ্যমে ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা আতœসাত করেন। এই অভিযোগে জেলা পোষ্ট অফিসের পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ আতœসাতের অভিযোগে বাবুগঞ্জ থানায় ২০০৫ সনের ২৬ জানুয়ারি মামলা দারে করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাবুগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আবু আল ইসলাম ২০০৬ সনের ২২ ফেব্র“য়ারি ফরিদ উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। বিচারক মামলার ১৬ জনের স্বাক্ষ্য নিয়ে দুই ধারায় ১৭ বছর কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড এবং আত্মসাতকৃত ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার আদেশ দেন। আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত দানে ব্যর্থ হলে তাকে আরো এক বছর কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।

অপরদিকে, ফরিদউদ্দিন ২০০৩ সনের ৮ আগষ্ট থেকে ২০০৪ সনের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত পূনরায় প্রতারনার মাধ্যমে ১২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। এ অভিযোগে জেলা পোষ্ট অফিসের পরিদর্শক মোশারেফ হোসেন বাদি হয়ে ২০০৪ সনের ১০ এপ্রিল বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আবু আল ইসলাম ২০০৬ সনের ২২ ফেব্র“য়ারি ফরিদ উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দিয়েছেন। আদালত ১৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করে দুই ধারায় ১৭ বছর কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের এবং আতœসাতকৃত ১২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার আদেশ দেন।