কর্ম পরিষদ নেতার নিবন্ধন প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টায় টানা-হেচড়া

শাহীন হাসান, বরিশালঃ ওরা ছাত্রলীগ; পারেনও বটে। ওদের কাছে জিম্মি খোদ মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকরাও। ক্ষমতা ওদের হাতে। পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস করতে ওরা শিক্ষকদের চাপ প্রয়োগ করে তাও আবার খোদ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে। মাথা মোটা এই ছাত্রলীগ নেতা হলেন কর্ম পরিষদের সদস্য নাদিম। বিএম কলেজ ছাত্রলীগের জনপ্রিয় মুখ। ক্ষমতার আমলও প্রায় শেষ। ক্ষমতা প্রয়োগ করার মুখ্যম সুযোগটি কাজে লাগাতে চেয়েছিল তারা। স্বপ্নের একটি অংশ নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করতেই হবে এমন নেশায় দিওয়ানা হয়ে নাদিম ছুটে যায় প্রশাসনিক ভবনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে প্রশ্ন দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছুড়ে দিলেন সমাজ কল্যাণের সহযোগী অধ্যাপক আ. সবুর হাওলাদারের নিকট। কিংকর্তব্য বিমূঢ় সবুর স্যার কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলেন। ম্যাজিস্ট্রেট আলিমুল্লাহ রীতিমত বাকশূন্য। অতঃপর উত্তেজিত কণ্ঠে বের করে দিতে চাইলে নাদিমের খামখেয়ালীপনায় শুরু হয় বাক-বিতণ্ডা। ম্যাজিস্ট্রেট আলিমুল্লাহ অবাক দৃষ্টিতে শুনতে থাকেন তার এই ছাত্রলীগ ত্রাসের অনৈতিক বুলি। হাউ মাউ করে কোন ফায়দা না হওয়ায় অতঃপর নাদিম ব্যর্থ মিশন নিয়ে ফিরে যান বরিশাল কলেজে তার নিজ কেন্দ্রে নিবন্ধনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য।

এ বিষয়ে নাদিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভাই বিশ্বাস করেন এসব কিছু আমার প্রতিপক্ষদের ষড়যন্ত্র। এর আগে আমাকে বাবলু, মহিউদ্দিন সহ কয়েকজন কুপিয়ে আহত করেছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তাছাড়া আমি পরীক্ষা দিয়েছি বরিশাল কলেজে। সে সময়তো আমি বরিশাল কলেজে ছিলাম। এ ঘটনায় ভিপি মঈন তুষার জানান, আপনি কোথায় শুনলেন। যদি ঘটনা সত্যি হয়; তবে তার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনায় সহযোগী অধ্যাপক আ. ছবুর হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।