ইভটিজারের অপবাদে পুলিশের খাঁচায় স্যানিটারি মিস্ত্রি

বরিশাল সংবাদদাতাঃ স্যানিটারি মিস্ত্রি হাবিবুর রহমানকে ইভটিজার অপবাদে আটক করেছে কাউনিয়া থানা পুলিশ। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপিয়ে দেয়া নির্দিষ্ট সংখ্যক আসামী গ্রেফতারই এই নিরীত সাধারণকে আটকের জন্য দায়ী। সরাসরি কোন মেয়েকে ইভটিজিং কিংবা উত্ত্যক্ত করার অপবাদে আটক করতে গেলে প্রয়োজন ছদ্মবেশী মহিলা পুলিশের। পোষাকধারী পুলিশ দিয়ে কি ইভটিজার আটক সম্ভব? পুলিশের অভিযানে আটককৃতদের অভিভাবকরা জানান, তাদের সন্তানদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ইভটিজার অপবাদ দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হচ্ছে। ফলে পরবর্তীতে তারা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছে না। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা বলতে চাইছেন, সন্দেহজনক মনে হলে দু’চারটা চড়-থাপ্পড় দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হোক। গতকাল সব থেকে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে ইসলামিয়া কলেজের সামনে থেকে এক স্যানিটারি মিস্ত্রিকে আটরেক ঘটনায়। সে সময় আরো ৪ জনকে আটক করে।

সূত্র জানায়, পুলিশের এসআই মুকুল গতকাল সকালে ইভটিজিং বিরোধী অভিযানে নামে। দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ইসলামিয়া কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় ইভটিজার সন্দেহে ফরদান হোসেন, খন্দকার রাসেল, আরিফ খান ও হাবিবুর রহমানকে আটক করে। আটকের সময় হাবিব পুলিশকে জানায়, তার গ্রামের বাড়ি লামছড়ি এলাকায়। স্যানিটারি মিস্ত্রির কাজ করেন তিনি। বরিশাল নগরীতে একটি বাসায় কাজ শেষ করে মোবাইলে কথা বলতে বলতে ইসলামিয়া কলেজের সামনে দিয়ে পায়ে হেটে বাড়িতে যাচ্ছিল। নিতান্ত গরিব ওই মিস্ত্রির শত অনুনয় বিনয় মন গলাতে পারেনি পুলিশের। অপরাধী পথচারী সব ধরে কাউনিয়া থানায় বন্দি করে একটি জিডি করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। হাবিবুর রহমান মাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছে। এরপর অভাবের তাড়নায় সেনেটারি মিস্ত্রি হিসেবে দৈনিক হাজিরায় কাজ করছে। কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের সাথে যার কথা বলার সাহস নেই। সেই মিস্ত্রিও এখন ইভটিজিং মামলায় কারাগারে।