যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিবৃতি – ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের আহ্বান

বাপসনিঊজ: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সংশোধিত কমিটি থেকে অবিলম্বে জাগো বাংলাদেশ, ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, মুনা’র সদস্যদের বাদ দিয়ে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে জননেত্রীর ঘোষিত উপদেষ্টা মন্ডলীকে দিয়ে সার্বজনীন কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে অধ্যাপক খালিদ হাসানের নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা মন্ডলীদের দ্বারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দ্বায়িত্ব অপর্ণ করেন।

কর্মী সম্মেলনে দেয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশকে উপেক্ষা করে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়ে একপেশে ও এক গ্রুপের লোকজন দিয়ে একটি তথাকথিত কমিটি এবং পরবর্তীতে সংশোধিত কমিটি মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। কে বা কারা কখন কোথায় কাদের নিয়ে উক্ত তথাকথিত কমিটি গঠন ও সংশোধন করা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। সময়ে সময়ে কারও কারও নাম সংযোজন ও বিয়োজন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে এক জঘন্য খেলায় মেতে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সুযোগ সন্ধানী এক কুচক্রিমহল।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের তথাকথিত সংশোধিত কমিটিতে ১/১১ এর আন্দোলন সংগ্রামের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের পরিবর্তে সুযোগ সন্ধানী ও সুবিধাবাদী একটি গোষ্ঠী, জাগো বাংলাদেশের সংগঠক, ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, রাজাকার, মূনা (মুসলিম উম্মাহ্ অব নর্থ আমেরিকার) সদস্য ও তাদের পরিবারের লোকজনদের স্থান দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ও বিতর্কিতদের ডকুমেন্ট ইতিপূর্বে ড. সিদ্দিকুর রহমান সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে পাঠানো হয়েছে। উক্ত সংশোধিত কমিটিতেও শুধুমাত্র আইওয়াশ করে ২/১ লোককে অর্ন্তভূক্ত কারসাজী করা হয়েছে। যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনের বিরোদ্ধে জাগো বাংলাদেশে ব্যানারে বিরোধীতা ও বিশাদগার করেছে, জননেত্রীর প্রকাশ্য সমালোচনা ও কুটক্তি করেছে, যারা কোনদিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামে জড়িত ছিল না; শুধুমাত্র গ্রুপিং এর কারনে কতিপয় কুচক্রি ও দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীর মাধ্যমে ভারসাম্যহীন, আঞ্চলিকতা সাম্প্রদায়িকতা, পরিবারতন্ত্র ও পক্ষপাতদোষে দুষ্ট হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টানদের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া তথাকথিত সংশোধিত কমিটি প্রচার করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি হাস্যকর ও অগ্রহণযোগ্য কমিটি বাজারে চালানোর অপপ্রায়স চালাচ্ছে। যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে দূর্বল করার শামিল।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী সংগঠকে এক সংকটময় ও সংঘাতমান পরিস্থিতির দিকে ঢেলে দেয়া হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এহেন সংকটময় পরিস্থিতি উত্তরণের একমাত্র পথ হলো কর্মী সম্মেলনে ঘোষিত জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উপদেষ্টামন্ডলীকে দিয়ে সকল গ্রুপের সাথে আলাপ-আলোচনা করে পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবস্থান নিশ্চিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা।

সংশোধিত তথাকথিত কমটির নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তড়িঘড়ি করে সভা-সমাবেশ ডাকা থেকে বিরত থেকে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এর নিকট জোর দাবী জানানো যাচ্ছে যে, বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে বঞ্চিত নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষের কথা জানিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে সর্বজনীন একটি কমিটি গঠন পূর্বক জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়ন করা। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়মী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সিটি, স্টেট ও মহানগর কমিটি গঠন না করার জন্যেও আহ্বন জানানো যাচ্ছে। অন্যথায় এর সকল দায় দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী আওয়মী লীগ নেতাকর্মীদের নামঃ
হাজী শফিকুল আলম, শামীম চৌধুরী, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, কাজী কয়েস, প্রকৌশলী আশরাফুল হক, গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ (মুক্তিযোদ্ধা), ফারুক হোসাইন (মুক্তিযোদ্ধা), লুৎফুল কবির, সরাফ সকার (মুক্তিযোদ্ধা), রতন বড়য়া, শওকত আকবর রিচি (মুক্তিযোদ্ধা), মোঃ ইউসুফ চৌধুরী (মুক্তিযোদ্ধা), গোলাম মোস্তফা সুজন, হেলালুল করিম, সিতাংশু গুহ, নাফিউল ইসলাম পান্না, আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলী সিদ্দিকী, হাজী এনাম, চন্দন দত্ত, আব্দুর রহিম বাদশা, হিন্দোল কাদের বাপ্পা, নুরুল আমিন কোতোয়াল, শেখ আতিকুর ইসলাম, হাজী মোদাসসের মিয়া, এ.বি. সিদ্দিক, রমেশ নাথ, শরীফ কামরুল আলম হিরা, কয়সর আহ্মেদ, ফাহিম রেজা নূর, তোফায়েল চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী, জালাল উদ্দিন জলিল, খুরশিদ আনোয়ার বাবুল, ডাঃ টমাস দুলু রায়, ফজলুল কাদের, সুব্রত বিশ্বাস, কামাল আহমেদ, মোঃ হানিফ, নুরুন্নাহার আলম, কায়কোবাদ খান, রফিক পারভেজ, অবিনাশ আচার্য, নিখিল কুমার রায়, গোলাম কুদ্দুস, হিরু ভূঁইয়া, গোলাম রাব্বানী, আলী হাসান কিবরিয়া অনু, এ.বি.এম মিজানুল হাসান, নূর-এ-আজম বাবু, নবেন্দু দত্ত, রাশেদুল ইসলাম বাবুল, রনজিৎ বিশ্বাস, সালাহ্ উদ্দিন জামিল, ফজলুল হক সুরুজ, গোলাম হোসেন কুটি, সাইফুর রহমান বাবু, অধ্যক্ষ বসির আহ্মেদ, সরদার চান শরীফ, সাদেক খান (মুক্তিযোদ্ধা), ফরহাদ আহ্মেদ, সুবল দেবনাথ, মোঃ হক নেওয়াজ নাদী, মোঃ নান্নু, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার গিয়াসউদ্দিন, আবুল কাশেম ভূঁইয়া, শফি মাহমুদ পান্নু, তাজুল ইসলাম খাঁন (মুক্তিযোদ্ধা), ইমতিয়াজ হাসান জামাল, নুরল হক খাঁন, রফিক আহ্মেদ, এনায়েত করিম বাবুল, শিমুল হোসেন, কামরুল হাসান চৌধুরী, দেবাশীষ দাস বাবুল, বদিউজ্জামান দুলাল, গোলাম ফারুক চাঁন, সামসুল আলম, কাজী আজীজুল হক খোকন, এম মাওলা দিলু, ,টি মোল্লাহ্, কাজী রোকেয়া, নাসরিন খানম, সাইদুর রহমান বেনু, মাহবুবুবর রহমান মিলন, নজরুল ইসলাম খাঁন, আলী আক্কাস, মোঃ মোস্তফা, মোঃ জিন্দাপির, নজরুল ইসলাম, আহমেদুর রহমান চৌধুরী, আশ্রাফ উদ্দিন, এম,এ, আলম বিপ্লব, শফিকুল আলম অলষ্টার, জুয়েল আহ্মেদ, হাজী ফকরুল ইসলাম, ইমাম সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যুৎ দাস, মোঃ শাহ্জাহান, প্রফেসর স্বপন দাস, ইকবাল বাসার মিলন, কাজী শফিক, এম. এন. জিন্নাত, হেলাল মাহমুদ, এস. ইসলাম মামুন, কামাল হোসেন মিঠু, ওয়ালী হোসেইন, খোন্দকার আক্কাস আলী, নাফিজা নূর সাথী, ফয়েজ আহমেদ, এ. কে. চৌধুরী, মনোয়ার হোসেন, রিয়াদ উদ্দিন, আলফাজ উদ্দীন মিলন, কাজী আব্দুল মতিন, মোবারক হোসেন, মেহেদী হাসান বাবর, এম. এ. হামিদ, মমতাজ বেগম আলো, মোঃ আলী হোসেন, সুজন আহমেদ সাজু, শফিক আহ্মেদ, ফয়েজ আহমেদ, আবুদর কাদের, হেলাল উদ্দিন শাহ্, মাহমুদ রহমান, আকবর হোসেন রাসেল, মশিউর রহমান, নুরুল আমিন, আজিজুর রহমান, কাজী মাহে আলম, এ্যাডভোকেট আবু হেলেন হোসেন, শাখাওয়াত বিশ্বাস, ইব্রাহিম মৃধা, আবুদল মালেক (মুক্তিযোদ্ধা), এ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দীন, মিঠুন জোবায়েরী কোকো, কামরুল ইসলাম, মনির আহ্মেদ, রেজা সিদ্দিকী, রফিকুল বারী চৌধুরী, নূরুল ইসলাম বাঙালী, ইসলাম উদ্দিন পংকী, তোফাজ্জেল হোসেন, মুজিবুর রহমান মুজিব, বদরুল হোসেন খাঁন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। খবর বাপসনিঊজ.