তিতাসে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ

মাহ্ফুজ ইসলাম শিপলু, দাউদকান্দি ॥ আজ ৮ ডিসেম্বর তিতাস উপজেলার উত্তর বলরামপুর গ্রামের রিয়া আক্তার বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পেল। সৌদি প্রবাসী মনির হোসেন ও গৃহিণী জোছনা বেগমের কন্যা ৭ম শ্্েরণীর ছাত্রী রিয়া আক্তার (জোহরা) একই গ্রামের আঃ করিমের পুত্র দুবাই প্রবাসী গরীব হোসেনের সঙ্গে ৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বিয়ের দিন ঠিকঠাক হয়। এ সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিক,সমাজকর্মী ও বিভিন্ন সংগঠনবৃন্দ কণের বাড়িতে যায়। বিষয়টি তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা ফেরদৌসিকে জানানো হলে তারা বিয়ে বন্ধের সকল ব্যবস্থা করেন। বলরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, আমি বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে। কোনভাবেই এ বিয়ে হতে দেয়া যায় না। এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক কবি কলামিস্ট মো. আলী আশরাফ খান বলেন, ‘সমাজ চরম অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বখাটেদের উপদ্রোপে অভিভাবকরা মেয়েদের বাল্যবিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। বাল্যবিয়ে শুধু মেয়েদেরই জীবনই সর্বনাশ ডেকে আনেনা পাশাপাশি পরিবার ও সমাজে বড়রকমের সমস্যার সৃষ্টি করে। সরকারের উচিৎ সামাজিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে নানামুখী কার্যক্রম হাতে নেয়া।’ মাছিমপুর আর আর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহফুজুর রহমান চৌধুরী স্কুলের রেজিঃ খাতা খুলে বলেন, ছাত্রীটির বিয়ের বয়স এখনো হয়নি।