“মা মনসার দোহাই লাগে-খাঁ খাঁ খাঁ বক্কিলারে খাঁ” পায়ে রশি বেঁধে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা

প্রতিবেশী কুদ্দুসুর রহমান জানান, সাপে দংশন করার পর পার্শ্ববর্তী বাঘমারা গ্রাম থেকে ওঝা সেলিম ঢালীকে ডেকে আনা হয়। তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে চিকন রশি বেঁধে টেনে ধরে মন্ত্র পড়ে বিষ নামায়। আধুনিক সভ্যতার যুগে মন্ত্র পড়ে বিষ নামানোর সুফল সম্পর্কে ফকরুন নেছার পিতা মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-মোরা গরীব মানুষ মোগো টাহা পয়সা নাই। হেইয়ার লাইগ্যা গ্রাম্য ওঝা দিয়া মাইয়ার (কন্যার) বিষ নামাইছি।
এ ব্যাপারে ওঝা সেলিম ঢালী জানান, বংশ পরস্পরায় তিনি এ পেশায় রয়েছেন। তিনি যে কোন সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা করে থাকেন। মন্ত্র পড়ে সাপেকাটা রোগী ফকরুন নেছার বিষ নামিয়ে সুস্থ্য করতে পেরেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রবীন্দ্রনাথ গাইন রবিনের কাছে ঝাড় ফুঁকের মাধ্যমে ওঝা দিয়ে বিষ নামানোর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধিকাংশ সাপে বিষ থাকে না। বিষধর সাপে কাটলে ইনজেকশন ব্যতিত বিকল্প কোন চিকিৎস্যা নেই। কিছু কিছু বিষধর সাপে কাটা রোগীর জন্য এ পর্যন্ত বিশ্বে কোন ইনজেকশন আবিস্কার হয়নি। মন্ত্র বা ঝাড়ফুঁক দিয়ে কথিত ওঝাদের বিষ নামানোর বিষয়টি তিনি স্রেফ ভন্ডামি বলে দাবি করেন।