গলাচিপায় কথিত সালিসের নামে জুতা পেটা অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর কপালবেড়া গ্রামে শনিবার কথিত হাঁস মারার অভিযোগে অর্ধশত লোকের সামনে সোহরাব সর্দার  (৪০) কে সালিসির নামে জোতাপেটা করা হয়েছে। অপমান সহ্য করতে না পেরে সোহরাব সর্দার গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম বরিশাল শের-এ-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এলাকাবাসি সূত্রে জানায়, উপজেলা চর কপালবেড়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য সোহরাব সর্দারের পুকুরে শুক্রবার সকালে পাশের বাড়ির মতি খাঁর ৫টি হাঁস খাবার খেতে যায়। কিছক্ষণ পর হাঁস গুলো অসুস্থ হয়ে পরে। এঘটনায় শনিবার সকালে মতি খাঁর ভাই অলি খাঁ বাড়িতে ঢেকে নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল খাঁ, আনিস চৌকিদার ও কালাম খাঁর নেতৃত্বে সালিস বসায়। এক পর্যায় ইউপি সদস্য দুলাল খাঁ সালিস থেকে চলে গেলে আনিস চৌকিদার ও কালাম খাঁ সোহরাব সর্দারকে বেদরক জুতা পেটা করে। এঅপমান সইতে না পেরে সোহরাব সর্দার বাড়িতে এসে ঘরের পিছনের আম গাছের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় বাড়ির লোকজন দেখে দ্রুত গাছ থেকে নামিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-এ-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সোহরাব সর্দারের স্ত্রী পারভিন বেগম  জানান, পূর্ব শত্রুতার জন্য মেম্বার দুলাল খাঁ, আনিস চৌকিদারও মতি খাঁ পরিকল্পিত ভাবে আমার স্বামীকে জুতা পেটা করেছে।  এব্যাপারে ইউপি সদস্য দুলাল খাঁ বলেন, আমি কোন সালিস করিনি।