মতিউর রহমান লিটুঃ গত ১১ই ডিসেম্বর রবিবার সকাল ২টা ৩৫ মিনিটে ডাক্তারদের শত প্রচেষ্টাকে হার মানিয়ে সকলের প্রিয় মুখ জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত এ কে এম মামুন চির বিদায় নিলেন। ২৪ শে নভেম্বর ব্রেন ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ফ্লাশিং নিউইয়র্ক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক এ কে এম মামুন নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত ছিলেন। প্রায় একযুগের ও অধিক সময় মিশনে কর্মরত থাকা কালীন সময়ে সকলের সাথে বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। বিদায় বেলায় পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার সন্তান এ কে এম মামুনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বড় মেয়ে তানিয়া ও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পরিবারের এই কঠিন মুহুর্তে স্ত্রী ও সন্তানদের পাশে দাড়ানোর জন্য পরিচিত সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি জনাব ডঃএ কে এম আব্দুল মোমেন, কমুউনিটি নেতৃবৃন্দ ও তাঁর সকল সহ কর্মীরা সদ্য প্রয়াত মামুনের বাসায় এসে সান্তনার বানী দিয়েছেন।
মৃত্যু পুর্বে জানিয়ে যাওয়া ইচ্ছা অনুযায়ী জনাব মামুনের মরদেহ নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ড মুসলিম কবরস্থানে মাটি দেয়ার উদ্দ্যেশ্যে গত ১১ ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জামাইকা মুসলিম সেন্টারে মরহুমের নামজে যানাজা অনুষ্ঠীত হয়। জাতিসংঘে নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি জনাব ডঃএ কে এম আব্দুল মোমেন, কন্সাল জেনারেল জনাব সিব্বির আহাম্মেদ সহ কয়েক শত মানুষ তাঁর নামাজে যানাজায় অংশ গ্রহন করেন।
বরিশাল বিভাগীয় সমিতির একাংশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন মরহুমের জানা অজানা ভুল ত্রুটি মাফ করে দিয়ে সকলকে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করার অনুরোধ করেন।
জনাব মামুনের অকাল মৃত্যুতে ফ্লাশিং বাংলাদেশ কমুউনিটির সর্বত্র শোকের ছায়া বইছে। বরিশাল বিভাগবাসীর পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেছেন গোলাম ফারুক শাহীন, আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সোলায়মান সেরনিয়াবাদ, লুতফুর রহমান লাতু, ওয়াদুদ তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল কাদের খান, জাকির হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম সিকদার, আব্দুর রাজ্জাক সিকদার, আশিক মাহমুদ, কায়কোবাদ খান সহ আরো অনেকে।