নিরাপদ অভিবাসন-অর্থনীতির উন্নয়ন

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ “নিরাপদ অভিবাসন-অর্থনীতির উন্নয়ন”-শ্লোগানকে সামনে রেখে রবিবার পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। সচেতনতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসন ও স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পে নিরাপদ অভিবাসন-অর্থনীতির উন্নয়ন-শ্লোগানে মুখরিত হোক আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমান লোক শ্রম অভিবাসনে যাচ্ছেন। অনেকে বৈধ ভাবে অভিবাসনে গেলেও অবৈধভাবে অভিবাসনে যাচ্ছেন অধিক সংখ্যক লোক। ফলে তারা প্রতারিত কিংবা নির্যাতিত হয়ে সর্বস্ত্র খুঁইয়ে শূণ্য হাতে দেশে ফিরছেন। অথচ অনেক কষ্ঠ করে শ্রম দিয়ে বাংলাদেশে তাদের পরিবারের জন্য তারা অর্থ পাঠাচ্ছেন পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার অর্জন করছেন বিপুল পরিমান রেমিটেন্স। বাংলাদেশের অর্ধনৈতিক সাফল্য অর্জনের পেছনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই অভিবাসনে যাবার জন্য নতুন করে সঠিত তথ্য, পরামর্শ ও প্রশিক্ষনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে ওয়্যারবী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। এই প্রকল্প হতে প্রদত্ত সেবা সমূহ হচ্ছে-সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, প্রাক বহিগর্মন প্রশিক্ষণ, রান্না (কেটারিং) বিষয়ক প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা সৃষ্টি প্রশিক্ষণ কোর্স, ইতালিয়ান ভাষা শিক্ষা কোর্স, রেমিটেন্স ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা, এছাড়াও বিভিন্ন দেশে (ইতালী, ইউরোপ) অভিবাসন বিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করা। ওয়্যারবী ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের চারটি জেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জেলাগুলো হচ্ছে বরিশালের গৌরনদী, শরিয়তপুরের নড়িয়া, ঢাকার দোহার ও ব্রাক্ষনবাড়িয়া। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সহযোগীতায় রয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো। কারিগরি সহযোগীতায় রয়েছেন টেরেডেস হোমস্ ইতালীয়া এবং আর্থিক সহযোগীতায় রয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

নিরাপদ অভিবাসন প্রতিটি অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির সাফল্য নিশ্চিত হোক, সরকার অভিবাসন বিষয়ে আরো সচেতন হয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহন করুক এই প্রত্যাশাই করছি।-লেখক: সুলতানা জাহান, প্রশিক্ষক-প্রাক বহিগর্মন, ওয়্যারবী ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, গৌরনদী, বরিশাল।