গৌরনদীতে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ১০টি দোকান ভাংচুর ॥ ১০ জন আহত

গৌরনদী ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তী বাকাই হাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’উপজেলাবাসীর মধ্যে গতকাল বুধবার বিকেলে দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে ১০ জন আহত ও ১০টি দোকান ভাংচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে গৌরনদী ও কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে কালকিনি উপজেলার পশ্চিম খানদালী গ্রামের মোঃ মেজর পাহলানের ক্ষেতের মেস্তা পাট প্রতিবেশী নজরুল ফকিরের ছাগলে খায়। এ নিয়ে ওইসময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। ঘটনাটি পরেরদিন মেজর পাহলান গৌরনদী উপজেলার সলতা গ্রামের তার শশুর আওয়ামীলীগ নেতা কাদের ফকির ও শ্যালক মিজান ফকিরকে জানায়। শ্যালক মিজান ফকির ও তার লোকজনে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বাকাই হাটে খানদালী গ্রামের নজরুল ফকিরকে পেয়ে বেদম মারধর করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে কালকিনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ সংবাদ পেয়ে খানদালী গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক গ্রামবাসী লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বুধবার বিকেলে বাকাই হাটে অর্তকিত ভাবে হামলা চালায়। এ সময় গৌরনদীর বাকাই ও কালকিনির সালতাবাসির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় এলাকার কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। হামলাকারীরা বাকাই হাটের কাশেম চৌকিদার, হেমায়েত ষ্টোর, আদারী ষ্টোর, রোকন আকন, মানিক চক্রবর্তী, নিলু দে, এচাহাক বেপারী, দেরাজদ্দিন মুন্সী, পারভেজ ষ্টোর, হালিম হাওলাদারের দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে গৌরনদী ও কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। সংঘর্ষ চলাকালীন সময় পুরো হাটে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। আত্মরক্ষার্থে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা তখন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত দু’উপজেলাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।