শাহীন হাসান, বরিশালঃ বরিশাল মহানগর বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। মহনগরীর ১৭ ও ১৯ নং ওয়ার্ডে আহবায়ক কমিটি ছাড়া বাকি সবগুলো ওয়ার্ডেই সভাপতি ও সম্পাদকের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে এক তরফা সরোয়ার পন্থিদের চাহিদানুযায়ী। কোথায়ও রাখা হয়নি সাংসদ সরোয়ার বিদ্ধুসি জেলা বিএনপির সভাপতি কামাল পন্থীদের। সরোয়ারপন্থিদের হাতে তৈরী এ কমিটিতে ১নং ওয়ার্ডে কমিটি করা হয়েছে আব্বাস উদ্দিন বাবলু ও সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে সৈয়দ হাসান মামুনকে। কিন্তু ওই ওয়ার্ডে গত বছর আহসান হাবীব কামাল জেলা সভাপতি হওয়ার আগে অর্থাৎ মহানগর বিএনপির ১নং যুগ্ন আহবায়ক থাকাকালীন সময়ে তিনি আরও ৩ যুগ্ন আহবায়ককে সাথে নিয়ে ওই এলাকাতেই আব্দুর রশিদকে সভাপতি করেছিলেন। পরে এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার মহানগর বিএনপির সভাপতি হওয়ার পর রশিদ রাজনীতির গ্যাড়াকোলে দুমরে মুচরে গিয়ে রাজনীতি থেকে ছিটকে পরেছেন।
একইভাবে আহসান হাবিব কামাল সমর্থিত ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন বর্তমান যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোমেন সিকদার ও সাধারন সম্পাদক আওলাদ হোসেন মনু। কিন্তু নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে আমিনুল ইসলাম নিপু ও সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে যুব দলের যুগ্ন আহবায়ক কামরুল ইসলাম রতনকে। তবে মহানগর বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি গঠনে এমপি সরোয়ার নিজে পছন্দ সই লোকজন নির্ধারন করলেও তারা প্রত্যেকেই বর্তমান সরকার বিরোধী যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক লোক সমাগম নিয়ে কর্মসূচিতে হাজির হচ্ছেন। অপরদিকে কামাল সমর্থিত যে নেতারা স্থান পেয়েছিল কমিটিতে অর্থাৎ যে সকল কমিটি আহসান হাবিব কামাল সমর্থন দিয়েছেন তাদের অনেকেরই প্রকৃত পক্ষে দলীয় করন সমার্থক গ্রহনযোগ্যতা পান। যেমন নগরীতে দক্ষিন জনপদ স্বাগতিক ২টি ওয়ার্ড হচ্ছে ২৪ ও ২৫নং। এ ওয়ার্ডে বিএনপির বিজয়ের মূলে রয়েছে সাবেক ২ কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ ও জিয়া উদ্দিন সিকদার। স্থানীয়ভাবেও এরা ব্যাপক শক্তিশালি প্রার্থী। যে কোন মিছিল সমাবেশে এদের অবস্থান থাকে অগ্রগন্য। কিন্তু এদের বাদ দিয়েই আহাসান হাবিব কামাল তার কমিটি করেছিলেন শুধু ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ড নয় ১৫নং ওয়ার্ডেও যাকে সভাপতি করেছিলেন তিনি নিজেও অযোগ্য প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে গঠিত কমিটিতে একযোগে বাদ পরেছেন কামাল পন্থিরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামি জানুয়ারিতে মহানগর বিএনপির কর্মী সম্নেলনের মাধ্যমে ঘোষনা করা হবে ওয়ার্ড পর্যায়ে চূড়ান্ত কমিটি। অন্যদিকে মহানগর বিএনপির রাজনীতি থেকে অনেকটাই বিতাড়িত হয়ে এখন আহসান হাবিব কামালের সাথে জেলায় নিজেদের নাম লেখাতে ব্যাস্ত তার অনুসারিরা। কিন্তু এতনেতা কর্মীদের অবস্থান থাকা সত্ত্বেও আহসান হাবিব কামলের নের্তৃত্বাধীন মিছিলে লোকজন সমাগম খুবই কম। কিমিটি ঘোষনার আগে আহসান হাবিব কামাল দলীয় কাজে গেলেও জেলা বিএনপির সভাপতি হয়ে এখন আর দলীয় কার্যমুখি হচ্ছেন না। তবে সাংসদ মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কর্মী সম্নলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যারা বিএনপি করে তাদের উচিৎ ছিল সেই সম্নেলন গুলোতে উপস্থিত হওয়া। বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক অবস্থান এবং যোগ্যতা মাপকাঠীতেই ৩০টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান এমপি সরোয়ার। যার মধ্যদিয়ে ফের পিছিয়ে থাকলেন কামাল পন্থীরা।