বিসিসি মেয়রের ক্লান্তিহীন পথচলা

বরিশাল সংবাদদাতাঃ বিশ্রামহীন যাত্রা চলছে বিসিসি মেয়র শওকত হোসেন হিরনের। মেয়র পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই তার এ দায়িত্ব চলছে বিরামহীনভাবে। গতকাল খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের শুভ বড়দিন উপলক্ষে নগরীর বেশ কয়েকটি খ্রীস্টান কলোনীতে গিয়ে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন মেয়র শওকত হোসেন হিরন। রোববার সন্ধ্যা থেকে অনেক রাত পর্যন্ত কলোনীগুলো ঘুরে মেয়র শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি কলোনীর অধিবাসীদের খোঁজ খবর নেন। তিনি বড়দিনের কেক কাটেন এবং সকলের সাথে মিলে আপ্যায়িত হন। মেয়রের কাছে এ সময় খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।

এছাড়া মেয়র হিরন বিকেলে নগরীর একরিম আইডিয়াল কলেজ মাঠে হামিদা বেগম বেনে ভোলেন্ট ফাউন্ডেশন ও এম সিকিউরিটিজ লিমিটেড আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। দুপুরে মেয়র হিরন নগরীর সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এবং দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় মরহুম শিক্ষক সাইয়েদ উদ্দিন আহম্মেদ’র ইচ্ছানুযায়ী তার পুত্র শরফ উদ্দিন আহম্মেদ বাবু মসজিদ নির্মাণ কাজের জন্য নগদ এক লাখ টাকা মেয়রের হাতে তুলে দেন।

এছাড়া সকালে মেয়র হিরন নগরীর আমতলা মোড় জিরো পয়েন্ট এলাকার রাস্তা সম্প্রসারণ, ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। সর্বশেষ রাতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় উলে¬খযোগ্য অবদান রাখায় খোকা মিয়া ও রেবা বেগম নামের এক দম্পতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ’৭১ জেলা সংসদের আহবায়ক হাসান মাহামুদ বাবু, যুগ্ম আহবায়ক শাহিন খান, সদস্য সচিব এহসান রাব্বি’র নেতৃত্বে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা গতকাল রাতে ওই দম্পতির ল’ কলেজস্থ বাস ভবনে যান এবং তাদেরকে সম্মানিত করতে পেরে গর্ববোধ করেন এবং খোকা মিয়া ও রেবা বেগমের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অনেক কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ওই দম্পতির ছোট ছেলে, প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক বেলায়েত বাবলু তার মা-বাবাকে সম্মানিত করার জন্য জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড-৭১’র সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তিতে আমার মা-বাবা সম্মানিত হওয়ায় আমি গর্ববোধ করছি। জেলা সংসদের উপস্থিত সকলে সম্মিলিত কণ্ঠে উচ্চারিত করেন, এখনো এমন অনেক দম্পতি আছে যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় অসামান্য অবদান রাখার পরেও রাষ্ট্র কর্তৃক কোন স্বীকৃতি পায়নি।

উল্লেখ্য, খোকা মিয়া ও রেবা বেগম দম্পতির মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অসামান্য অবদান, কারাভোগ, রাজাকার কর্তৃক নির্যাতন হওয়ার খবর সম্প্রতি একটি স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশ হওয়ার পর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এই দম্পতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন।