হারিয়ে যেতে বসেছে চরফ্যাসনের মৃৎ শিল্প কারুকার্যের ঐতিয্য

চরফ্যাশন সংবাদদাতা ॥ ভোলা জেলা চরফ্যাশনে সেই পুরোনো মৃত মিল্পের খোজ আর কেউ রাখেনা। আধুনিক যুগে বাজারে প্লাষ্টিক ও মেলা মাইন শিল্পের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকতেনা পারায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশের চিরচেনা মৃৎশিল্প।এ শিল্প দিয়ে এখানকার অনেক পরিবার জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো চরফ্যাসনেও মৃৎশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। অনেকেই বাপ-দাদার এপেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা গ্রহণ করে কোন রকম বেঁচে থাকার সংরাম চালিয়ে যাচ্ছে। আর যারা এখনো এ পেশায় জড়িত রয়েছে তাদের পরিবারে নেমে এসেছে দুর্দিন। শীঘ্রই এ পেশাকে টিকিয়ে না রাখলে চিরতরে হারিয়ে যাবে এ শিল্প।

চরফ্যাসনের পৌর ৩নং ওয়ার্ডের ইসলাম পাড়া, কুকরী-মুকরীর বাবুগঞ্জ, ঢালচর, নীলকমলের চর যমুনা, চর নুর আমিন, কলমীর চর হরিষ ও চরফ্যাসন পৌর ৬নং ওয়ার্ডের দাস কান্দি (বর্তমানে দৌলতখা কান্দি) এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় শতাধিক লোক এ পেশায় জড়িত ছিল।বর্তমানে এ দেশে আধুনিকতার ছোয়ায় কালভেদে মৃৎশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু এখন তাদের এ প্রাচীন পেশা পর্যায় ক্রমে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। চরফ্যাসন পৌর এলাকার ৩নং, ৬নং ওয়ার্ডের দাস কান্দি, কলমীর চর হরিষ ও নীল কমলের চর যমুনায় মৃৎ শিল্প কিছুটা থাকলেও  এ কাজ করে বর্তমান দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির সময়ে তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণ চলেনা। এছাড়া শত বছরের মৃৎ শিল্পের ঐতিহ্যকে অনেকদিন ধরে রাখলেও বাজারে প্লাষ্টিক ও মেলামাইনের তৈরী সামগ্রী সহজলভ্য ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে এর গ্রহণ যোগ্যতা কমে গেছে।

পৌর ৩নং ওয়ার্ডের ইসলাম পাড়ার স্বর্ণ চন্দ্র পাল ও তপন চন্দ্র পাল জানান, আগে এ শিল্পের উপকরণ যেমন এটেল মাটি, রং, যন্ত্রপাতি, জ্বালানী সহজলভ্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে এ উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ শিল্পের সাথে জড়িতরা হিম শিম খাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মৃৎ শিল্প পরিবারগুলোকে সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা দিলে হয়তো বা আবার তারা এ পেশায় মনোযোগী হবে বলে অনেকেই মনে করেন।