বরিশাল বিভাগের ২৩ কমিউনিটি ক্লিনিক নদীগর্ভে বিলিন

বরিশাল সংবাদদাতা ॥ গত ৬ বছরে বরিশাল বিভাগের ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ঐ সকল এলাকার লোকজন প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

২০০৫ সালে মেহেন্দিগঞ্জে চরএকরিয়া ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায় চুনারচর ও চারহারিয়ার দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক। ২০০৬ ও ২০০৭ সালে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় ভাষানচর ইউনিয়নের চরবাকরজা, চাদগাজির মাঝি বাড়ি ও গবিন্দপুর ইউনিয়নের আবুল হাসেম বাড়ির কমিউনিটি ক্লিনিক ৩টি। ২০০৯ সালে তেতুলিয়া রেজিস্ট্রার বিদ্যালয় সংলগ্ন কমিউনিটি ক্লিনিক, বাইতুল হুদা জামে মসজিদ সংলগ্ন কমিউনিটি ক্লিনিক, ২০১১ সালে গোবিন্দপুর ও চরশেফালী কমিউনিটি ক্লিনিক নদীতে বিলীন হয়ে যায়। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

ভোলা সদর উপজেলার মাঝি হাট, রামদাসপুর, কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের শাহআলম বাড়ী, চৌধুরী বাড়ী, মনতাজ উদ্দিন মাস্টার বাড়ী, পক্ষিয়া ইউনিয়নের ফরাজী বাড়ী, আলিআকব্বর মহাজন বাড়ী, দৌলতখান উপজেলার ভবানিপুর ইউনিয়ন পরিষদ, তজুমদ্দিন উপজেলার উপজেলার মলনচরা ইউনিয়নের দিদার মাঝি বাড়ী, সোনাপুর ইউনিয়নের চৌমুহনি বাজার, চাদপুর ইউনিয়নের ধুলাইকান্দি, চারফ্যাশন উপজেলার চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের কাজী বাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারনের পরপরই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ওই জমি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এরপরে নতুনভাবে আর নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তেতুলিয়া, মাসকাটা, লতা, গজারিয়াসহ বিভিন্ন নদীর আগ্রাসী ভাঙ্গনে বেশ কিছু কমিউনিটি ক্লিনিক হুমকির মুখে রয়েছে।

মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ এবং ভোলার ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নদী গ্রাসে বিলুপ্ত হওয়ার ব্যাপারে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. সৈয়দ খায়রুল আলম জানান, নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ শুরু করা হবে।