মরার উপর খাড়ার ঘাঁ – একে তো ভাঙা সড়ক তাতে আবার ফেরী

কুয়াকাট সংবাদদাতা ॥ দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী কুয়াকাটা-কলাপাড়া মহাসড়কের খুবই বেহাল দশা। এর মধ্যে যত্র তত্র ৩টি ফেরী। এ যেন মরার উপর খড়ার ঘাঁ। কুয়াকাটাকে পর্যটন নগরী ঘোষনা দেওয়ার সাথে সাথে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন মূখী প্রকল্প হাতে নেয়। একটি আধুনিক পর্যটন নগরী তৈরীতে সরকার থেমে নেই কোন দিক দিয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটা-কলাপাড়া মহাসড়কের ২২কিঃমিঃ রাস্তার যুগ যুগ ধরে বেহাল দশা হলেও সরকার ২০০৯ সালের অর্থ বছরে দরপত্র আহবক্ষান করে। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রয়ারী ২টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি হাতে নেয়। ২২কিঃমিঃ রাস্ত্ার কাজ ২ টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পর্যয়ক্রমে ৪ ভাগে ভাগ করে করলেও নির্মান কাজের মান এত খারাপ ছিল যে যা রাস্তার বর্তমান বাস্তবতার সাথে মিল বিদ্যমান। কুয়াকাটা-কলাপাড়া মহাসড়কের নির্মান কাজ নিয়ে পত্র পত্রিকায় তখন লেখালেখিও কম হয় নি। কিন্তু থেমে থাকেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির দূর্নিতী ও দায়সাড়া ভাবে নির্মান কাজ। যার খেসারত দিতে হচ্ছে ভ্রমন পিয়াসু পর্যটক সহ যাত্রীদের। অন্যদিকে কলাপাড়া-নীলগঞ্জ, হাজীপুর-পুরান মহিপুর, মৎস্যবন্দর মহিপুর-আলীপুর ফেরী ৩টি পারাপারে ইজারাদার সহ স ও জ বিভাগের কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে অনিয়ম, গাফেলতি তা আগত পর্যটক সহ যাত্রীদের শুধু ভোগান্তিই নয় বরং ভ্রমনে আসা পর্যটক পিয়াসুদের আনন্দই যেন পন্ড করে দেয়। পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের সাথে কথা বললে এমনটিই জানিয়েছেন একাধিক পর্যটকরা।