নির্বাচন কমিশনের অনুমতির অপেক্ষায় ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউপি নির্বাচন

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ সকল আইনী বাঁধা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত বহু প্রতিক্ষিত ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে হাইকোর্টের আদেশের কপি পাঠিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠি পাঠিয়েছেন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস গত মাসের শেষ সপ্তাহে সীমানা নির্ধারন বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের নিকট পাঠিয়ে নির্দেশনা চেয়েছেন। সকল আইনী বাঁধা পেরিয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় নির্বাচন অফিস।

বরিশাল বিভাগের সবক’টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন প্রায় সম্পন্ন হলেও ঝালকাঠি সদর উপজেলার একমাত্র  পোনাবালিয়া ইউপি নির্বাচন সীমানা নির্ধারন জটিলতায় আটকে যায়। এক মহল একের পর এক খোঁড়া অজুহাতে নিম্ম আদালত থেকে উচ্চ আদালতে মামলা দাঁড় করিয়ে নির্বাচনে জটিলতা সৃষ্টি করে আসছিল।

এদিকে তফসিল ঘোষনার পর অনেকদিন অতিবাহিত হওয়ায় নির্বাচনী তফসিল নিয়ে সৃষ্টি হয় ধুম্রজাল। ইউনিয়নের ভোটার ও সাধারন নাগরিকের মাঝে তফসিলের বিষয়টি এখন মুখ্য হয়ে দাড়িয়েছে। এলাকার বেশীর ভাগ নাগরিক নতুন তফসিলে নির্বাচন দাবী করে আসছে। অপরদিকে একটি পক্ষ পুরাতন তফসিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তদবির চালাচ্ছে।

নির্বাচনে দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৫১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিল। তবে আইনি জটিলতার কারনে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ অনেকেই মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেনি। তারা সরকারের নিকট নতুন তফসিলের দাবী জানিয়েছেন। নির্বাচন বানচালের পর ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম ইউনিয়নের নাগরিকের ভোটাধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে সরকারের কাছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জানিয়ে আসছিল। এছাড়া ইউনিয়নে সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, প্রাথীদের সাথে মতবিনিময় ও প্রধানমন্ত্রী-নির্বাচন কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপিও পেশ করা হয়। এতে দ্রুত ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী তোলা হয়েছিল। নির্বাচন প্রসঙ্গে ঝালকাঠি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি আবদুল্লাহ জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর পোনাবালিয়া ইউনিয়ন নির্বাচনের ব্যাপারে আইনগত নির্দেশনা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশনা এলে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করা  হবে।

উল্লেখ্য,ইউনিয়নটিতে গত ২০০২ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠান হলেও মেয়াদ উর্ত্তীন হয়ে গেছে ২০০৬ সালে। ফলে ইউনিয়নে উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যাপক ভাটা পড়ে যায়। এছাড়া এলাকার নাগরিকদের নাগরিক সনদ পেতে ভোগান্তি পেতে হয় অনেককেই। নিয়মিত পরিষদে কাজ কর্ম না হওয়ার ফলে ইউনিয়নটির নাগরিকরা নানা সমস্যায় পড়ে এখন অভিববাকহীন।