নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ পারস্য উপসাগরে আফগানিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন জলসীমায় গত শনিবার সামরিক নৌমহড়া দিয়েছে ইরান। দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস এই খবর জানিয়েছে। পশ্চিমাদের অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় উপসাগরে ইরানের সামরিক মহড়া শুরু পর আফগান সীমান্তে এই মহড়াকে গুরুত্ববহ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগেই আবার পারস্য উপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে ইরান। এই হুমকির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রও কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। ওই এলাকায় এখন মার্কিন নৌবাহিনীও টহল দিচ্ছে।
এদিকে ব্রিটেন হরমুজ প্রণালীতে তার সবচে শক্তিশালী সামরিক জাহাজ পাঠানোর কথা জানিয়েছে।
আফগান সীমান্তে নৌ মহড়ার প্রসঙ্গে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার মোহাম্মদ পাকপুরের বরাত দিয়ে ফারস জানিয়েছে, ‘খভাত এলাকার নিকটে ‘ঐক্যের জিহাদ’ নামের মহড়া হয়েছে যা আফগানিস্তান থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার গভীরে। ইরান সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যেই এই মহড়া বলে উল্লেখ করছে ফারস।
ইরানের তেল শিল্পকে বাধার মুখে ফেলার উদ্দেশ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একটি নতুন অবরোধ বিল অনুমোদন করেছেন। এর প্রতিবাদে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের নৌবাহিনী উপসাগরে ১০ দিনব্যাপী সামরিক মহাড় শুরু করে যা গত সোমবার শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে হরমুজ প্রণালীতে যে কোনও জাহাজ ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান। এই বিষয়টি নিয়ে তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হরমুজ প্রণালী এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, এই পথেই তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা ট্যাঙ্কারগুলো ঢোকে। এখন এই প্রণালী বন্ধ করা হলে বা যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটলে বিশ্ব তেল বাজারই অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে গত শুক্রবার আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ১৩ ইরানি নাবিককে উদ্ধার করেছে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর একটি ইউনিট।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই বদান্যতাকে শুধু মানবিক বিষয় বলে বর্ণনা করেছে ইরান। আর এতে তেহরান-ওয়াশিংটন বর্তমান সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহী।
–খবর: আজকের বাংলা