শিবিরের নতুন কমিটি – সভাপতি দেলাওয়ার, সেক্রেটারী আবদুল জব্বার

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. দেলাওয়ার হোসেন এবং সেক্রেটারী জেনারেল মনোনীত হয়েছেন মো. আবদুল জব্বার।

রবিবার সকালে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভাপতি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সদ্যবিদায়ী সভাপতি ডা. মো. ফখরুদ্দিন মানিক।

সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০১২ সেশনের নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে মো. দেলাওয়ার হোসেন এর নাম ঘোষণা করা হয়। নবনির্বাচিত সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সাথে পরামর্শক্রমে মো. আবদুল জব্বারকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনয়ন দেন। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিনসহ কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, কেন্দ্রীয় এইচআরডি সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক এবং সর্বশেষ সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মনোনীত সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল জব্বার এর আগে চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের সভাপতি, কেন্দ্র্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক এবং সর্বশেষ কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের নামে আমাদের প্রিয় নেতা আমীরে জামায়াতসহ সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে ইসলামী আন্দোলনকে নেতৃত্বশূন্য ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে অভিভাবক শূন্য করার পাঁয়তারা করছেন।

সদ্য বিদায়ী সভাপতি ডা. মো. ফখরুদ্দিন মানিক বলেন, বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসের এক ক্রান্তিলগ্নে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির স্বপ্ন বুকে নিয়ে ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ইসলামী ছাত্রশিবিরের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু শিবিরকে বেশিদূর এগুতে দেয়নি সত্য ও সুন্দরের প্রতিপক্ষ কায়েমী স্বার্থবাদী মহল।

উল্লেখ্য, ছাত্রশিবিরের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিবছর কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচন, সেক্রেটারি জেনারেল মনোনয়নসহ সংগঠনের পরবর্তী এক বছরের পরিকল্পনা সদস্য সম্মেলনের মাধ্যমে গৃহীত হয়।
রাজনৈতিক প্রতিবেদনে আওয়ামী সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ, যুদ্ধাপরাধের বিচারের মাধ্যমে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার পায়তারা, বিরোধী দলসমূহের উপর ব্যাপক দমন-পীড়ন, মানবাধিকার লংঘন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও সীমান্তে নির্বিচারে হত্যা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়।

দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব ও ইসলাম রক্ষায় দেশপ্রেমিক জনতা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতেও প্রস্তুত বলে জানান তারা। কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না বলে আশাবাদ তাদের।

আজকের বাংলা