অসময়ের বর্ষণে পান চাষীদের মাথায় হাত

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ কুয়াশা, শীত ও অসমেয় বৃষ্টি সহ বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় পান চাষীরা দিশেহারা হয়ে পরেছেন। পান বরজের লক্ষ লক্ষ টাকার পান ঝরে পড়ায় অধিকাংশ পানবরজে এখন পান পাতা শূন্য লতা দাঁড়িয়ে রয়েছে। পান ঝরে পড়ায় বর্তমানে এসব উপজেলায় পান শূন্যতাসহ পানের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা জানান, গত কয়েক দিনের ঘণ কুয়াশা ও অসময়ের বৃষ্টিসহ বৈরী আবহাওয়ার কারণে পান বরজের লতা থেকে পান ঝরে পড়তে শুরু করেছে। আগৈলঝাড়া উপজেলার ঘোড়ারপাড়, টেমার, নাঘার, দিঘীবালি, হাওলা, বাকাল, রাজিহার, ফুল্লশ্রী, জবসান, গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী, বাউরগাতি, পিঙ্গলাকাঠী, বাটাজোর, মাহিলাড়া, বাঘারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই পান বরজে লতা থেকে পান ঝরে পড়ছে। তারা আরো জানান, পান পাতা ঝড়ে পড়ার ফলে তারা লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। তবে আগৈলঝাড়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল কৃষকদের দাবির সাথে ভিন্নমত পোষন করে বলেন, ক্ষয় ক্ষতির কোন হিসেব তাদের অফিসে চাষীরা জানায়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অসংখ্য পান বরজের বিপুল পরিমান পান মাটিতে ঝরে পড়ে রয়েছে। গৌরনদীর প্রায় তিন’শ ও আগৈলঝাড়ার প্রায় আড়াই’শ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়েছে। হঠাৎ করে ঘণ কুয়াশা, শীত ও অসময়ের বর্ষনে লতা থেকে পান পেকে মাটিতে ঝরে পড়ায় কৃষকরা চরম ভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম ও গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার মন্ডল পানপাতা ঝড়ে পরার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পান চাষীদের তালিকা তৈরিসহ তাদের খোঁজ খবর নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।