জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত জুবায়েরর লাশ কলাপাড়ায় দাফন – বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

কলাপাড়া সংবাদদাতা ॥ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ছাত্রলীগ কর্মী জুবায়ের আহমেদ বাবুর মঙ্গলবার সকালে দুই দফা নামাজে জানাজা শেষে কলাপাড়া পৌরশহরের এতিমখানা কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।

এদিকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে ওই দিন দুপুরের দিকে তার সহপাঠীরা মানববন্ধন কর্মসূচি ও কালো ব্যাচ ধারন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন পেশার সহস্রাধিক মানুষসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও রাজনৈতীক নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে অশং গ্রহন করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন নিহত জুবায়েরের বাবা তোফায়েল আহম্মেদ ,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ,খেপুপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন বিশ্বাস ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুল হাসান সুজন মোল্লা প্রমুখ। এই মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে কলাপাড়া পৌর শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে।এর আগে কলাপাড়া পৌর শহরের মদিনাবাগ ও এতিমখানা জামে মসজিদ মাঠে  দুইদফা  তাঁর নামাজের জানাযা শেষে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জুবায়েরের লাশের সাথে আসা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যায়ের পর্দাথ বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জুবায়ের ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোকিত মুখ। আজ তাকে গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীক ছাত্রলীগের রাজনীতির কারনে হত্যার শিকার হতে হল। এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের ফাঁসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি।

এতিমখানা জামে মসজিদে নামাজের জানাজা অংশ নেয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এক নং যুগ্ম আহবায়ক এবিএম মোশরফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি দলীয় লেজুর বৃত্তিতে পরিনত হওয়ায় ক্যাম্পাস, হল দখলের কারণে অনেক নিরিহ মেধাবী মূখ হারিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় রাজনৈতিক দল গুলো ক্ষমতায় যাবার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে,যার কারনে অছাত্র, বহিরাগতদের কাছে সাধারন ছাত্ররা জিম্মি হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের অধিকার ও শিক্ষাগনে সুষ্ট পরিবেশ পরিবেশ বজায় রাখতে বর্তমান ছাত্ররাজনীতি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আর এ কারনেই জুবায়েরের মত একের পর এক  মেধাবী ছাত্রদের অকালে প্রাণ হারাতে হচ্ছে।