আদালতে এক ডাকাতের স্বীকারোক্তি ডাকাতির ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফকিরহাট থানার এসআই এস.এম. ফিরোজ আলম রবিবার বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনারদিন রাতে আটক সালাম মোল্লার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ শনিবার রাতে খুলনার ফুলতলা যৌনপল্লী থেকে শহীদকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ঐ রাতেই ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নিয়ামত হোসেনের ভাতিজা জুয়েলকে বিশ্বরোড মোড় থেকে গ্রেফতার করে। শহীদ রবিবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জুয়েল ও সালামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত সোমবার এ বিষয়ে শুনানীর দিন ধার্য্য করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
শহীদ তার স্বীকারোক্তিতে আরও জানায়, জুয়েল তার পূর্ব পরিচিত। ঘটনার দিন (২০ মে) সন্ধ্যায় জুয়েল তাকে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সাচিবুনিয়া গ্রাম থেকে ফকিরহাটে নিয়ে আসে। ওই রাতে সে জুয়েলসহ স্থানীয় ৪/৫ জনের সাথে ফকিরহাট উপজেলার পাগলা দেয়াপাড়া বনফুল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বসে হেরোইন সেবন করে এবং ডাকাতির পরিকল্পনা করে। রাত ২টার দিকে তারা আট্টাকি গ্রামের ব্যবসায়ী মো: আবুল কাশেমের বাড়িতে ডাকাতি করতে যায়।
উল্লেখ্য, ডাকাতদের ধারালো অস্ত্র ও গুলিতে গৃহকর্তা মোঃ আবুল কাশেম (৩৫), প্রতিবেশী তিন সহোদর আশরাফ আলী (৪২), আকরাম হোসেন (৩৭), ইকরাম হোসেন (৩০) ও মামুন শেখ (২৭) আহত হন। আহতদের মধ্যে আবুল কাশেম, ইকরাম ও মামুনকে ভোর রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গহকর্তা আবুল কাশেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় একটি মামলা করেন।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নিয়ামত হোসেন বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, জুয়েল আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তার বিরুদ্ধে নেশা করার অভিযোগ আছে তবে ডাকাতির ঘটনায় সে জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহজনক।