মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাত মাস্টার হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশীট

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ নগরীর রূপাতলী এ. ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাত আলী হত্যা মামলায় ২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে চার্জশীট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু সাঈদ। অভিযোগপত্রে রূপাকে মূল হত্যাকারী এবং মনোয়ার হোসেন টাপ্পুকে সহযোগি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। রূপার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় মিঠুকে অব্যহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়।

আদালতে জমা দেয়া অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, রূপার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে সব ধরনের সহায়তা করেছে টাপ্পু। তাকে নিয়েই হত্যার পরিকল্পনা করাসহ রূপাকে এগিয়ে নেয়া ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ফেরত দেয়ার কাজ করেছে টাপ্পু। ঘটনার পরপরই টাপ্পু পলাতক থাকে। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও হত্যার ঘটনায় টাপ্পুর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। রূপাকে সহযোগিতায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়। মনোয়ার হোসেন টাপ্পু নগরীর ভাটিখানা সাহাপাড়া রোডের বাসিন্দা হারুন অর রশিদের ছেলে। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনার সাথে কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকায় মিঠুকে অব্যাহতি দেয়ায় সুপারিশ করা হয়। মিঠুকে হত্যাকারী রূপার দেয়া তথ্যে আসামী করা হয়। সেই আসামী হিসেবে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে রূপা তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মিঠু জড়িত না থাকার কথা জানায়। প্রকাশ্যে ও গোপনে নেয়া সাক্ষ্যে তার কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকায় অব্যহতি দেয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাইদ জানান, অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে দুইজনকে অভিযুক্ত এবং একজনকে অব্যহতি দানের সুপারিশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য কলেজ পড়–য়া মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় গত ২৫ নভেম্বর রাতে নগরীর রূপাতলী এ. ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিন্নাত আলীকে ছুরিকাঘাত করে রূপা। ২৬ নভেম্বর ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায় সে। এ ঘটনায় জিন্নাত আলীর স্ত্রী কাজী শিরিন আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় রূপা ও মিঠুকে আসামী করেন।