সরিকল ইউনিয়নের একটি মামলা গত আট মাস ধরে ঝুলে রয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব হওয়ার কারনে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার শরিকল ইউনিয়ন পরিষদের পূরাতন ভবন ও গাছ বিক্রির ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলাটি দীর্ঘ ৮মাস যাবত ঝুলে আছে । এ নিয়ে এলাকাবাসী হতাশ। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন মিলন ও ইউপি সদস্য আঃ ছালাম বেপারী ২০০৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদের ৫ লাখ টাকা মূল্যের ১টি ভবন ও ৩ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির ২০টি গাছ টেন্ডার বহির্ভূত ভাবে বিক্রি করে সমূদয় টাকা আত্মসাত করেন। এ ব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দা ও আওয়ামীলীগ নেতা সরদার মনিরুজ্জান মনির গত ৯-৫-২০১১ইং তারিখ বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুর্নীতি দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক একে এম সলিম উল্লাহ উক্ত মামলাটি কেন থানায় গ্রহন করা হয়নি এবং মামলা রুজু করতে বাদী থানায় গিয়েছিলেন কিনা এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম (পিপিএম) এর কাছে জবাব চান। পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগটি জিডি হিসেবে গ্রহন করে বিষয়টি তার ইখতিয়ার বহির্ভূত এবং দুর্নীতি সংক্রান্ত হওয়ায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরন করেন। একই সাথে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও দুর্নীতি দমন কমিশন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় মামলার বিষয়টি ঝুলে আছে। এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক ও তদন্তকারীকর্মকর্তা আবুল হাসেম কাজীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে দীর্ঘ ৮মাস অতিবাহিত হওয়া সত্বেও দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত রিপোর্ট প্রদান না করায় এবং কোন আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়ায় মামলার বিষয়টি ঝুলে আছে। এ কারণে বাদী ও ইউনিয়নবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।