বরিশার সদর গালর্সে আবার ৩৫ শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারন ২৩ জানুয়ারি

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ বাতিল হয়ে যেতে পারে বরিশাল সরকারি কালিকা বিদ্যালয়ের ২০১২ সালের তৃতীয় শ্রেনীর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল। উচ্চ আদলত নির্দেশ দিলে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে। আবার প্রকাশিত ফলাফল বহালও থাকতে পারে। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দায়ের করা উচ্চ আদালতের রিট মামলার বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী। বাতিল করে দয়া ৩৫ ছাত্রীর পক্ষে উচ্চ আদালত রিট মামলা  দায়ের করা হলে জেলা প্রমাসক এসএম আরিফুর রহমান, সরকারি বারিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলী সহ ৩জনকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে হাইকোর্ট। একই সাথে আগামি ২৩ জানুয়ারির মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য আদেশ দিয়ে তয় শ্রেনীর ভর্তি পরীক্ষা ফলাফল ও বিদ্যালয়ে উত্তীর্নদের ভর্তি স্থগিত করা হয়।

সূত্রে জানায়, ২০১২ সালে ৩য় শ্রেনীর ভর্তির জন্য গত ২৬ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল জিলা স্কুলে পরের দিন-দিবা ও প্রভাতি শাখার উত্তীর্নদের রোল নম্বরের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তার একদিন পর বরিশাল জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে জানানো হয়, ফলাফল প্রকাশে ভূলবশত ৩৫জন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর রোল নম্বর সংয্ক্তু করে প্রকাশ করা হয়েছে। আসলে তারা কেউ পাশ করেনি। বিপরীতে বাদ পরেছে সঠিক উত্তীর্ন হওয়া ৩৫ শিক্ষার্থীর তালিকা। পরে সংশোধিত একটি তালিকায় পূর্বের ৩৫জনকে বাদ দিয়ে নতুন করে ৩৫জন ছাত্রীর রোল নম্বর প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পরে ভূল বশত পাশ স্বিকৃতি দেয়া ৩৫ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। পরে ডিসি অফিস ঘেরাও, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে পুনোরায় ভর্তি পরীক্ষায় দাবী করে অভিভাবকরা।

এদিকে বাতিল করে দেয়া ৩৫ ছাত্রীর অভিভাবকগন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বরিশাল জেলা প্রশাসক, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৩জনকে বিবাদি করে একটি রিট মামলা দায়ের করেন। হাইকোর্ট মামলা আমলে নিয়ে ভর্তি ও ফলাফল স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে কারোন দর্শানোর নোটিশ দেয়। এ বিষয়ে বরিশাল সরকারী বলিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ আলী জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ফলাফল ও ভর্তি স্থগিত রয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট যাবেন তারা। তারপরে যে সিদ্ধান্ত হয় সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিভাবকদের দায়ের করা হাইকোর্ট রিট মামলার বিষয়ে বরিশাল ও ঢাকায় একাধিক আইনজীবি বলেন, বির্তকিত ফলাফল ইচ্ছা করলে বাতিল করে দিয়ে পুনোরায় পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশ আদালত দিতে পারে। আবার বাহলও রাখতে পারে। তবে বাতিলের সম্ভাবনা অনেকটাই বেশী। কারন ফলাফলটি বির্তকিত। এছাড়াও ৩৫ ছাত্রীর বিষয়ে পৃথক নির্দেশনা দিতে পারেন উচ্চ আদালত। তবে সকলেরেই আগামী ২৩জানুয়ারি উচ্চ আদালতের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বিচারপতি কি রায় ঘোষনা করেন তা শোনার জন্য।