অবশেষে রোটেশন প্রথা বাতিলে জিম্মিদশা থেকে বরিশাল বাসীর মুক্তি – আনন্দ মিছিল

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ অতঃপর দেশের দক্ষিনাঞ্চলের হাজার মানুষের দাবী মেনে নিয়ে লঞ্চ পরিবহনের  রোটেশন পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। সোমবার থেকে এটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে দক্ষিনাঞ্চলের লঞ্চ মালিক সমিতি এবং অন্যান্য সংশিষ্টদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু কেবিন ভাড়া দ্বিগুন বৃদ্ধি করার সুপারিশ করায় নতুনকরে আরেকটি সমূহ সমস্যার সম্ভাবনা দেখা দেয়ার আশংকা করছে অনেকে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নৌ মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে আহবায়ক করে ১০সদস্য বিশিষ্ট একটি সার্ভে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরা এক মাস পর্যবেক্ষন করে আরো কতটি লঞ্চ এই রুটে প্রয়োজন সে মোতাবেক চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করবে নৌ-মন্ত্রনালয়ে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বিসিসি মেয়র শওকত হোসেন হিরন, বিআইডব্লিউটি এর সচিব মান্নান হাওলাদার, এমপি তালুকদার মোঃ ইউনূস, মনিরুজ্জামান মনি, গোলাম কিবরিয়া টিপু, বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম আরিফ উর রহমান, পুলিশ কমিশনার তৌফিক আহম্নেদ, বরিশাল চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু প্রমূখ। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল রুটে ৫টি করে লঞ্চ চলাচল করবে। অবশ্য এ ক্রেডিট বরিশালের নগরপিতা বিসিসি মেয়র শওকত হোসেন হিরনের। বরিশালবাসীকে সঙ্গে নিয়ে লঞ্চ মালিকদের রিরুদ্ধে রোটেশন প্রথা বাতিল ছিল তার একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

বৈঠক শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, দেশের দক্ষিনাঞ্চলের বর্তমানে ৩টি নৌ-রুট চালু রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-ভোলা ও ঢাকা-পটুয়াখলী। এ রুটগুলোতে সোমবার থেকে কোনও রুটেশন পদ্ধতি থাকবে না। এখন থেকে এসব রুটের লঞ্চ মালিকরা পূর্বের নিয়মানুযায়ী অর্থাৎ বিআইডবি¬উটিএ-এর নির্ধারিত রুট ও সময় মোতাবেক চলাচল করবে। সর্বশেষ ভাড়া বাড়ানোর আগে পূর্বে আরোপিত শর্ত অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। ইদুল ফিতরের আগে ঈদ ব্যবস্থাপনা সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। তা ছাড়া স্থানীয়ভাবে করা সভার সিদ্ধান্তও সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। তবে কোনো লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না বলেও উলে¬খ করেন নৌ-মন্ত্রী। এ দিকে এ খবর ছড়িয়ে পরার পর খুশীতে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক অসিম দেওয়ানের নেতৃত্বে বরিশাল নগরীতে একটি আনন্দ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ।

অপরদিকে বিএম কলেজ কর্মপরিষদের পক্ষ থেকে রোটেশন প্রথা বাতিল হওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ভিপি মঈন তুষার ও জিএস নাহিদ সেরনিয়াবাদ।