শহীদ মিনার শূণ্য আগরপুর কলেজ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পরে আজো স্থায়ী ভাবে নির্মিত হয়নি কোন শহীদ মিনার। এমনই একটি হত্যভাগ্য কলেজের নাম হচ্ছে আগরপুর ডিগ্রী কলেজ। শিক্ষা দিক্ষায় এ কলেজটির সুনাম-সুখ্যাতি গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে অতি পরিচিত হলেও কলেজটিতে আজো স্থায়ী ভাবে নির্মিত হয়নি কোন শহীদ মিনার। ফলে কলেজের শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আগামী আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস (একুশে ফেব্র“য়ারির) পূর্বেই জরুরি ভিত্তিতে কলেজ প্রাঙ্গনে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্থায়ী ভাবে একটি শহীদ মিনার নির্মানের জন্য কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নে (সাবেক আগরপুর) ১৯৯৪ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় “আগরপুর ডিগ্রী কলেজ”। কলেজটিতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে বারো’শ শিক্ষার্থী ও অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে। শিক্ষা দিক্ষায় খুব স্বল্প সময়েই কলেজটির সুনাম সুখ্যাতি গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্র ছড়িয়ে পরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পূর্বে কলেজ প্রাঙ্গনে স্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার নির্মানের জন্য একই ইউনিয়নের ঠাকুরমল্লিক গ্রামের সমাজসেবক মোঃ সোহরাব হোসেন খান ২০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। রহস্যজনক কারনে সে টাকা বায়েজাপ্ত হয়ে যায়। এরপর শহীদ মিনার নির্মানের জন্য এক হাজার ইটও ক্রয় করা হয়েছিলো। তারও কোন হদিস নেই।
কলেজের শিক্ষিকা শিখা রানী দাস আক্ষেপ করে বলেন, প্রতিবছর আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসে কলেজের শিক্ষার্থীরা কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে প্রভাত ফেরিতে তাতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরবর্তীতে তা আবার ভেঙ্গে ফেলা হয় যা একটি লজ্জাজনক বিষয়। কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য ও শিক্ষক সাইফুর রহমান বলেন, কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন থেকেই কলেজ প্রাঙ্গনে স্থায়ী ভাবে একটি শহীদ মিনার নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছেন। কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলী আহম্মেদ মোল্লা সকল অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে শুধু বলেন, আমি কথা দিচ্ছি ২০১২ সনের মধ্যেই কলেজ প্রাঙ্গনে স্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার নির্মান করা হবে।