পুলিশ নিয়ে ভাবার সময় নেই বরিশাল বিএনপির

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ সময় কম বলে এখন আর মিছিল মিটিং এ কর্মী উপস্থিতি নিয়ে ভাবেন না বরিশালের সাংসদ। তার প্রিয় ডায়ালগ এখন একটাই থাম আর বেশী দিন নেই। বিশেষ করে দলীয় প্রোগ্রামে পুলিশের উদ্দেশ্যে তার এ বক্তব্য বেশী প্রাধান্য পায় বলে মন্তব্য করছেন সাংসদ সরোয়ার পন্থীরা। বিপরীতে কামাল পন্থীরা বেছে নিয়েছেন টাকা ফিকানোর পথ। যে কারনে ইদানিং কামাল পন্থীদের মিছিল মিটিং হচ্ছে পুলিশি প্রহরায়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের বেলায় সর্বশেষ কয়েকটি দলীয় কর্মসূচিতে কামাল পন্থীদের মিছিল মিটিং এ পুলিশি প্রহরার এমন দৃশ্যের বাস্তবতা দেখা গিয়েছে সরেজমিনেও। তবে এখন আর বরিশাল বিএনপি পুলিশ নিয়ে চিন্তা করেনা। দলে নিজেদের অবস্থান নিয়ে জেলা কমিটি গঠনের পর থেকে পূর্বের মতই চিন্তিত কামাল ও সরোয়ার পন্থিরা। এ ক্ষেত্রে কামাল পন্থিদের চিন্তা সরোয়ার পন্থিদের দ্বিগুন।

সরোয়ার পন্থিরা ভাবছে, তাদের নেতা সাংসদ সরোয়ার আগামী নির্বাচনে এমপি হতে পারলে মন্ত্রী পদ যোগ্যতা বলে দাবীদার সরোয়ার। সেক্ষেত্রে কামাল পন্থীদের ভাবনা তাদের নেতা আহসান হাবিব কামাল এমপি কিংবা মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা একদমই নেই। কিন্তু  কেন্দ্র যদি তাদের নেতাকে আগামী মেয়র নির্বাচনে মনোনায়ন দেয় তবে সেক্ষেত্রে তাদের অস্তিত্ব রেহাই পাবে বলে আশার আলো রয়েছে কামাল পন্থিদরে জন্য। নতুবা ক্ষমতায় থেকেও সরোয়ার পন্থিদের তোপের মুখে তাদের অবস্থা বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের থেকেও ভয়ঙ্কর হবে।

দলীয় সূত্রানুযায়ী, বিএনপিতে ২০০৩ সালের সিটি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে অমান্য করে মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ডিতা করার মধ্যদিয়ে বিএনপিতে কামাল গ্রুপের জম্ন হয়। সে সময় সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহন করায় জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি ও সাবেক মেয়র আহসান হাবীব কামাল এবং সাবেক জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবায়েদুল হক চাঁনকে সেন্ট্রাল বিএনপি বহিস্কারও করে।  ২০০৯ সালের জুন মাসের ১ম সপ্তাহে আহসান হাবীব কামালের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়া হলে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিএনপিতে শুরু হয় কামাল গ্র“পের গর্জে ওঠা।

২০১০ সালের ১৫ জুন মেয়াদোর্ত্তীর্ণ সাংগঠনিক কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে বরিশালে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপির হাইকমান্ড। সেখানে মহানগরের সম্পাদক পদে আসীন হতে চেয়েছিলেন কামাল। কিন্তু সাংসদ সরোয়ারের কারনে সম্পাদক পদ থেকে ছিটকে পরছেন তিনি। মহানগরের সভাপতি হন সরোয়ার আর সম্পাদক হন কামরুল আহসান শাহীন। পরপরই কামাল টার্গেট করেন জেলা বিএনপির সভাপতি পদে আসীন হওয়া। সর্বশেষ নেতা আহসান হাবিব কামাল ২৩জুন তার নিজের চাহিদা অর্থাৎ জেলা বিএনপির সভাপতি পদ বাগিয়ে নিতে সক্ষম হলে  সেই থেকে মাথা খারাপ হয়ে যায় সরোয়ার পন্থীদের যা এখনও চলমান।