বৃষ্টিতে রিকশায় ঘুরব,আমার অনেক শখ ছিল । আজ আমি বৃষ্টি হলে একা রিকশায় ঘুরি । ঝুম বৃষ্টিতে শহীদ মিনারে বসে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাই । আমার গান তুমি পছন্দ করতে না । আজ দেখ । তুমি ঠিকই নিজের রাস্তা খুঁজে পেয়েছ । আমিও । আর রবীন্দ্রনাথ ? সে এখনও আছে । তার যাওয়ার জায়গা নেই ।
আজ আমার চুড়ির আলনা ভরা সবুজ চুড়ি । আমি কিনেছি । তুমি দাওনি । আচ্ছা , তোমার মনে আছে ? গ্রীষ্মের ছুটিতে আমরা T.S.C তে গিয়েছেলাম ? একটা মেয়ে ঝুম বৃষ্টিতে কাঁদছিল ? তা দেখে তুমি হেসেছিলে । কারো জন্য কাঁদার কি আছে? একটা গেলে আরেকটা পাবি । বেকুব মেয়ে । আমি তখন বিশ্বাস করিনি । মনে হয়েছিল মজা করছ । আজ তোমাকে দেখে বুঝলাম , সত্যি বলছিলে । বিশ্বাস করেই বলেছিলে । আমি গায়েই মাখিনি । তাহলে সেদিনই রাস্তাটা পরিস্কার থাকত ।
জানো ? অসংখ্য বেলি ফুলের মালা আমি এর পর পেয়েছি । এখনও পাই । আমার কষ্ট ভোলাতে আমার বন্ধুরা দিয়েছে । সামান্য বাতাসেও যে মেয়ে ছাতি মাথায় ঘুরে সেও আমার সাথে সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজেছে । না চারুকলায় না । বললাম না , আমি আর চারুকলায় যাই না। এখন কেন যেন বেলি বা শেউলি দেখলে কিছু মনে হয়না । এখন কাঁঠাল চাপা শুধুই একটি সুগন্ধি ফুল । একটা দীর্ঘশ্বাস ? তাও আসে না । আসবে কেন ? আমি ভাল আছি তো । সত্যি বলছি ।
তুমি আমাকে শিখিয়েছিলে “কারো জন্য life destroy করার মানে হয় না। কারো জন্য কেউ কখনও থেমে থাকে না । আমার জন্যে কেউ কোনদিন থেমে থাকেনি ,থাকবেও না । আমিও থাকছিনা , থাকব ও না । চাই ও না কেউ থাকুক ।যে বিশ্বাস করে সে ভাল থাকে । আর যে মুখে বলে ,নিজেকে সান্তনা দেয়ার জন্য , সেই বেকুবরা ভাল থাকার কঠিন অভিনয় করে। আসলে ভাল থাকেনা । একটা কথা ১০০ বার বললে মন মেনে নেয়, কিন্তু বিশ্বাস করে না ।”
জানো আমি আগের মত নেই। এখন আমার কোন কষ্টই হয়না। কিছুতেই না । আগের মত বন্ধুদের ফোন করে কান্না কাটি করিনা । আগের মত নিজের কষ্ট বলে বেড়াই না । আর বলবই বা কি ? বারে আমি কি খারাপ আছি নাকি ? আমি কি আগে এত হাসতাম ? দেখেছ ? এখন হাসতে পারি । ভাল না থাকেলে কেউ পারে?