গৌরনদীতে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি – গনপিটুনিতে এক ডাকাত হত – আহত ৫

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কুনিয়ারকান্দি গ্রামের এক সৌদি প্রবাসীর গৃহে শনিবার (২১ জানুয়ারি) গভীর রাতে পুলিশ পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘঠিত হয়েছে। ডাকাতি শেষে সংঘবদ্ধ ডাকাতরা পালাতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে এক ডাকাত আটক হয়ে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। ডাকাতদের হামলায় আহত হয়েছেন ৫ জন। গুরুতর আহতদের গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ, এলাকাবাসি ও ডাকাত কবলিত পরিবারের আহত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত দুইটার দিকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী কুদ্দুস বেপারীর ঘরে ১৫/২০ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল প্রবেশের চেষ্টা চালায়। দরজা খুলতে বিলম্ব হলে ডাকাতরা গৃহের জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। তারা গৃহের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমিরার তালা ভেঙ্গে ৩০ ভরি স্বর্নালংকার ও ৩৫ হাজার টাকার সৌদির দিনার অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় গৃহের লোকজনে ডাকচিৎকার শুরু করলে ডাকাতরা গৃহকর্ত্রী নুরজাহান বেগম, তার জা শারমিন বেগম, কাকলী বেগম, শ্বাশুড়ি রিজিয়া বেগম, নিকট আত্মীয় শেখ বাসার, শেখ সোহাগকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। ডাকাতি শেষে চলে যাবার সময় গৃহের লোকজনের ডাকচিৎকার শুনে এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে ডাকাতরা বোমা ফাটিয়ে আতংঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় এলাকাবাসি সবুজ নামের এক ডাকাতকে ধরে ফেলে। গনপিটুনিতে সবুজ ডাকাত ঘটনাস্থলে নিহত হয়। নিহতের বাড়ি পাশ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার পাংঙ্গাসিয়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মাজেদ তালুকদারের পুত্র। রবিবার সকালে গৌরনদী থানা পুলিশ নিহত ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে বরিশাল মর্গে প্রেরন করে।

গৌরনদী থানার ওসি আবুল কালাম জানান, এ ঘটনায় গৃহকর্তার ছোট ভাই নিজাম বেপারীর স্ত্রী শারমিন বেগম বাদি হয়ে ওইদিন বিকেলে একই গ্রামের ইদ্রিস আলী ও শাহজাহান হাওলাদারের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেছেন।