আগৈলঝাড়ায় দলিল লেখকদের কর্মবিরতি – দাতা গ্রহিতা ভোগান্তির শিকার

সাইদুর রহমান স্বপন, আগৈলঝাড়া ॥ আগৈলঝাড়ায় সাব রেজিস্ট্রারের কারনে দলিল লেখকদের অঘোষিত কলম বিরতি। জমির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের চরম ভোগান্তি। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। জানাগেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের লাইসেন্স প্রাপ্ত ২৭ জন দলিল লেখক অঘোষিত ভাবে গতকাল রবিবার কলম বিরতি পালন করেন। এ উপজেলায় সপ্তাহের রবিবার ও সোমবার দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। প্রতি সপ্তাহের ন্যায় গতকাল রবিবার ক্রেতা বিক্রেতারা পুর্বের তারিখ মোতাবেক দুর-দুরান্ত থেকে জমি ক্রয় বিক্রয় করতে আসলে সাব রেজিস্ট্রারের কারনে দলিল লেখকরা কর্মবিরতি পালন করেন। আর এ কারনেই শত শত মানুষ জায়গা ক্রয় ও বিক্রয় করতে এসে ভোগান্তির শিকার হয়।

জানাগেছে, অতিতে পিতামহ ও পৈত্রিক প্রাপ্ত সম্পত্তির (মালিক) ওয়ারিশগন প্রয়োজনের তাগিদে মিউটিশন ছাড়া সম্পত্তি বিক্রয় করতে পারতো। আগৈলঝাড়া সাবরেজিস্ট্রার গত ১৫ জানুয়ারী রবিবার লেখকদের সাথে এক মতবিনিময় কালে জানান, সরকার নতুন প্রজ্ঞাপনে পৈত্রিক প্রাপ্ত সম্পত্তির ওয়ারিশগন তাদের স্ব স্ব নামে মিউটিশন ও খাজনাদী পরিষদের দাখিলের কাগজ পত্র সম্পাদিত দলিলের অনুকুলে দাখিলের আদেশ দেওয়ায় লেখকরা এই অঘোষিত কর্মবিরতী পালন করেন।

আগৈলঝাড়া দলিল লেখকরা সাংবাদিকদের জানান, সাবরেজিস্ট্রার সাহেব আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তির অনুকুলে এবং হেবার ঘোষনায় ও দান পত্র দলিলের ক্ষেত্রে মিউটিশন বাধ্যতা মুলক করায় দাতা গ্রহিতাসহ দলিল লেখকরা ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। তহশিল ও ভুমি (এসিল্যান্ড) অফিস এর কাজ শেষ করে মিউটিশন করতে দীর্ঘ সময় লাগার কারনে দাতা গ্রহিতা উভয়েরই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া সাব রেজিস্ট্রার মানিক লাল মুখার্জি সাংবাদিকদের বলেন, আইনমন্ত্রণালয় থেকে জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে নিয়মের কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে তবে পৈত্রিক সম্পত্তিতে খাজনা পরিশোধ রশিদ দরকার, মিউটিশন প্রয়োজন নেই। হেবার ঘোষনা বা দান পত্রের দলিলে মিউটিশন দরকার। প্রতি সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ খানা দলিল রেজিস্ট্রি হলেও রবিবার একখানা দলিল রেজিস্ট্রি হয়নাই। লেখকদের কর্মবিরতির সম্পর্কে তার কিছুই জানানেই বলে তিনি জানান।