আনন্দবাজার পত্রিকার সংবাদে মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদ

খোন্দকার কাওছার হোসেন ॥ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় বিএনপি, তারেক রহমান ও ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঐ পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি কুদ্দুস আফ্রাদের নিকট এ প্রতিবাদপত্র হস্তান্তর করেন।

প্রতিবাদ পত্রে মির্জা ফখরুল বলেন, গত ২০ জানুয়ারী ‘সেনা অভ্যুত্থানের চক্রান্ত ফাঁস বাংলাদেশে’ শিরোনামের খবরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরিরের বিভিন্ন তৎপরতার বিবরণ দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, বিরোধী দল নেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেকও এর পিছনে অন্যতম মস্তিস্ক বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। গত ২১ জানুয়ারী উঠছে খালেদা-পুত্রের নাম! ষড়যন্ত্র হলে হাসিনার পাশেই থাকবে দিল্লি শিরোনামের খবরে বলা হয়,হাসিনা সরকার আসার পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে মৈত্রীর পরিবেশ তৈরী হয়েছে, তাকে ভেস্তে দেয়াটাই এই সেনা অভ্যুত্থানের লক্ষ্য।

দুদেশের গোয়েন্দারাই রিপোর্ট দিয়েছেন, এই লক্ষ্যে হিযবুত তাহরির, জামাতে ইসলামী ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি একজোট হয়ে কাজ করছে। গোটা ঘটনার মাথা হিসেবে উঠে আসছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের নামও। এর আগেও ভারত-বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে তারেকের নাম উঠে এসেছে। অভিযোগ, ২০০৪ সালে আলফাকে (উলফা) অস্ত্র যোগানোর পরিকল্পনার পিছনেও খালেদা পুত্র ছিলেন। চট্টগ্রামে ঐ ঘটনার পরেই শেখ হাসিনার উপরে গ্রেনেড হামলা হয়। সেই ঘটনার সঙ্গেও তারেকের জড়িত থাকার প্রমান মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই সংবাদের আরেক জায়গায় বলা হয়েছে-গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বিএনপি-জামাত জমানায় বিশেষ উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীতে বেশ কিছু কট্টর মৌলবাদীকেও নিয়োগ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা প্রকাশিত ঐ সব বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অসত্য ও কল্পিত। উপরে উল্লিখিত একটি বাক্যও তথ্যভিত্তিক নয়। এগুলো হীন উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং চরিত্র হণনমূলক প্রচারনা মাত্র। বিএনপি বাংলাদেশের বিপুল জনগণের সমর্থনধন্য সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। জননন্দিত আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি ভিত্তিক এই দলের সঙ্গে হিযবুত তাহরির নামের নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক একটি দলের কোনো দিক থেকে কোনো মিল নেই। তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো ধরনের যোগাযোগ থাকার প্রশ্ন অবান্তর।