বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে কর্নকাঠীতে গাছ লুট

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছ কর্তনের নামে স্থানীয় বখাটেরা চালাচ্ছে হরিলুট। জমির অংশিদাররা এ ঘটনায় বিমান বন্দর থানায় পৃথমে দুটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় যে সমস্ত মূল্যবান গাছগুলো টেন্ডার দিয়েছে তারা বাহিরে অর্থাৎ টেন্ডারের তালিকাভুক্ত নয় এমন গাছগুলো স্থানীয় কিছু বখাটে যুবকেরা রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। জমি ও গাছের প্রকৃত মালিকগণের বিষয় সম্পত্তির পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছগুলোও কেটে নিয়ে যায়। এছাড়াও আশপাশের ঘরগুলোতে রাতের আঁধারে ঢিল ছুড়েছ, ঘরের দরজার সামনে এসে গালিগালাজ করছে এবং ঘরের দরজায় লাথি মারছে। ওই পরিবারগুলো থানা পুলিশের কাছে এসব ঘটনার তদন্ত ও বিচার চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছে।

সূত্রে জানা যায়, বরিশাল বন্দর থানার কর্ণকাঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বনবিভাগ গাছপালার তালিকা প্রস্তুত করে। স্থানীয় জমির মালিক ও বাড়িওয়ালারা ব্যক্তি প্রয়োজনে ওই সময় কিছু গাছের তালিকা দেয়নি। নিজেদের ঘরের প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য তা রেখে দেয়। সম্প্রতি গাছ টেন্ডার দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই সুযোগ গ্রহণ করে কিছু স্থানীয় বখাটে যুবকরা। তালিকা বহির্ভূত গাছগুলো রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যায়। বাবর উল্লাহ তালুকদার ওয়াকফে স্টেট এর পক্ষে মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সাধারণ ডায়েরিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণকৃত ৫০ একর জমির মধ্যে সুপ্রীম কোর্টে আপিল মামলা নং ১৩৩৩/২০১১ বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া উক্ত সম্পত্তিতে বহু গাছপালা বনবিভাগের তালিকায় নেয়া হয় নাই। টেন্ডারের নামে জোর জবরানে গাছ বিক্রি চলছে। থানায় সাধারণ ডায়েরি ছাড়াও গত ১৯ জানুয়ারি বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করা হয়। এতে বলা হয়, ওয়াকফে স্টেটের নিজস্ব প্রয়োজনে কিছু গাছ কর্তন করা হলে তা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্টার ও তার লোকজন পুলিশ প্রহরায় সরাতে বাধা দেয়। এমনকি তাদের ঘর বাড়ির মালামাল নিয়ে যাবে বলে হুমকি প্রদান করেন। তাদের জানমালের নিরাপত্তার দাবি করেন। জেলা প্রশাসকের নিকট তাদের দাবি- ভিটেমাটি হারানোর পাশাপাশি নানা দিক দিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে সকল পরিবারের সদস্যরা। তারা এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট আইনী সহায়তা চাইছেন।