প্রেম করে বিয়ে করার খেসারত – সেইভ হোমে বসে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে নওমুসলিম খাদিজা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ জেলা ও দায়রা জজের দেয়া আদেশ পেয়ে বুধবার সেইভ হোমে বসে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে নওমুসলিম খাদিজা বেগম। আদালতের কাছে নিজ জিম্মায় গিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ এ.কে.এম সলিমউল্লাহ সেইভ হোমে বসে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার আদেশ দেন।

জানা গেছে, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বয়সা গ্রামে হরিপদ বাড়ৈর কন্যা ও মেদাকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ভানু বাড়ৈ। প্রেমের টানে ভানু পাশ্ববর্তী সমরসিংহ গ্রামের ইচাহাক সরদারের পুত্র সাইফুল ইসলাম সরদারের সাথে গত ১ জানুয়ারি অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। এরমধ্যে ভানু বাড়ৈ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে (মুসলমান ধর্মগ্রহন করে) সাইফুলকে বিয়ে করে সে নতুন নাম রাখে খাদিজা বেগম। অপরদিকে প্রেমিকা ভানু বাড়ৈর পিতা হরিপদ বাড়ৈ গৌরনদী থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আটদিন পর গত ৮ জানুয়ারি কালকিনি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া গ্রাম থেকে ভানু বাড়ৈরকে উদ্ধার করে। গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হয়। ওইদিন আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে নওমুসলিম খাজিদা ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ের কথা বলেন। আদালত খাদিজাকে তার বাবা-মায়ের হেফাজতে দেয়ার আদেশ দিলে খাদিজা তাতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ সময় আদালত তাকে সেইভ হোমে প্রেরনের নির্দেশ দেন। এরইমধ্যে বুধবার থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য খাদিজা নিজ জিম্মায় পরীক্ষা দেয়ার আবেদন করে। কিন্তু তার জবানবন্দি অনুযায়ী বয়স ১৫ বছর হওয়ায় তাকে নিজ জিম্মায় যাওয়ার আবেদন না মঞ্জুর করে আদলত। একই সাথে জেলা প্রশাসকের অনুমতি স্বাপেক্ষে তাকে সেইভ হোমে রেখে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সেইভ হোমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয় আদালত।

অপরদিকে খাদিজার পিতার দায়ের করা অপহরন মামলায় বুধবার হাইকোর্ট থেকে চার মাসের অন্তবর্তী জামিন নিয়েছে খাজিদার স্বামী সাইফুল সরদার।