লক্ষন দাস সার্কাসের গ্যালারি ও প্যান্ডেল ভেঙ্গে দর্শক-ষ্টাফসহ ৫০ জন আহত

আহত দর্শক খুরশিদা নাহার (৩৫) জানান, রাত সাড়ে আটটার শো-দেখার জন্য তিনি তার শিশু পুত্র রাব্বিকে নিয়ে গ্যালারিতে বসা ছিলেন। রাত সোয়া এগারোটার দিকে শো-চলাকালীন সময় হঠাৎ করে সার্কাসের পশ্চিম পার্শ্বের গ্যালারি ও প্যান্ডেল ভেঙ্গে পরে। এতে তিনি ও তার পুত্র সন্তানসহ অনেক দর্শক আহত হয়। তিনি আরো অভিযোগ করেন, সার্কাস পার্টি গ্যালারি ও প্যান্ডেল নরবরে ভাবে তৈরি করার কারনে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে। একইভাবে জানালেন, আহত দর্শক সুজন মিয়া (৩০), দেবাশীষ (২৫), পারভীন বেগম (৪০)সহ অনেকেই। সার্কাসের ষ্টাফ আব্দুল্লাহ মোল্লা জানান, রাতের শোর শেষ পর্যায়ে সাইকেল খেলার সময় হঠাৎ করে প্যান্ডেল ও গ্যালারি ভেঙ্গে পরে। এতে তাদের ষ্টাফসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে।   
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সার্কাসের প্যান্ডেল ও গ্যালারি ভাঙ্গার ঘটনায় সার্কাসের ম্যানেজার সুকলাল (৩৫), ষ্টাফ কালু (২৫), আপন আকন (৩৫) দর্শক দেবাশীষ (২৫), মাসুম (২০), বাবু (১৯), দুলাল মোল্লা (৫০), সোনিয়া খানম (২০), হাফিজা খানম (১৮), খুরশিদা বেগম (৩৫), রাব্বি (৪), তানভির (১৮), সুমন সাহা (২১), দেবু শীল (১৭), দিপ শীল (৯), অন্তু দাস (১৭), দুলাল (৩৫), পলাশ (১৮), সুজন (১৯), আনোয়ার হাওলাদার (৩২), ছালমা খানম (১৮), সাইদুর রহমান (৩৮) সহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত ৪ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ৯ জনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দি রয়েল বেঙ্গল লক্ষণ দাস সার্কাসের স্বত্তাধিকারী অরুন দাস নরবরে গ্যালারি ও প্যান্ডেল তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বুধবার উদ্বোধনী দিনের উদ্বোধনী শো-চলাকালীন সময়ের শেষ পর্যায়ে (রাত সোয়া এগারোটার দিকে) ঘুর্ণিঝড়ের কারনে প্যান্ডেল ও গ্যালারি ভেঙ্গে পরে সার্কাসের আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও সার্কাসের ৩ ষ্টাফসহ অনেক দর্শক আহত হয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
খবরটি স্রেফ গুজব
সার্কাসের প্যান্ডেল ও গ্যালারি ভাঙ্গার ঘটনায় শতাধিক দর্শকের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এমনই এক খবর বুধবার রাতে ছড়িয়ে পরলে ওই রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকার উৎসুক জনতা ভীড় করে সার্কাসের প্যান্ডেল এলাকায় ও হাসপাতালে। হাসপাতালে উপস্থিত গৌরনদীর পাশ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার চরপালরদী গ্রামের জসিম উদ্দিন, রমজানপুর গ্রামের সালাউদ্দিন, চরপালরদী গ্রামের ফাতেমা বেগম, চরআইরকান্দি গ্রামের ইসমাইল হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, রাতে মোবাইল ফোনে তারা খবর পেয়েছেন সার্কাসের প্যান্ডেল ও গ্যালারি ভেঙ্গে দশজন মারা গেছে। এছাড়াও আহত হয়েছে প্রায় শতাধিক লোক। এখবর শুনে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে তারা ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারেন মারা যাওয়ার খবরটি স্রেফ গুজব।