স্ত্রী স্বীকৃতি না পেয়ে পরকীয়া প্রেমিকার বিষপানে তোলপাড়

শাহীন হাসান, বরিশাল ॥ তিনি মস্ত বড় পরকীয়া প্রেমিক। পটানোর কৌশলে তার বেশ ভালই জানা। পেশায় সাবেক বরগুনা জেলা সাব রেজিষ্ট্রার। বৈদ্যপাড়া নির্জর হাউজে বসবাসরত মস্ত বড় প্রেমিকের নাম নূরুল হক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারীত্ব হরণ করা তার নেশা। ৩টি বিয়ে করেছেন তিনি। কিন্তু ৪র্থ বার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আর বিয়ে না করে বরং প্রতারণা করায় পরকীয়া প্রেমিক বিধবা লিউলী (৩৫) বিষপানে করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিয়ের স্বীকৃতি চাওয়ায় পরকীয়া প্রেমিক নূরুল হক ও তার ২য় স্ত্রী মিলে প্রেমিকা শিউলিকে মারধরের পর এ ঘটনা ঘটায় শিউলি।

শিউলের দেয়া তথ্যানুযায়ী, তার বাড়ি ঝালকাঠীতে তাদের পারিবারিক জমি সংক্রান্ত কাজে গিয়ে পরিচয় হয় সাব রেজিষ্ট্রার নূরুল হকের সাথে। শিউলির স্বামী হার্ডএ্যাটাকে মারা গেছে বছর ৪ পূর্বে। পেশায় শিউলি ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষিকা, শিউলির ১ম সংসারে তার একটি সন্তানও রয়েছে। শিউলিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলতে নূরুল ছল ছাতুরির আশ্রয় নিয়েছিলেন। সে সময় নূরুল হক তার স্ত্রী চরম অসুস্থ উল্লেখ করে শিউলির সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে জানান, তার স্ত্রী মারা গেলে সে শিউলিকে স্ত্রীর মর্যাদা দিবে। প্রেমের এক পর্যায়ে তাদের দৈহিক মেলামেশাও ঘটে একাধিকবার। হঠাৎ কেটে পড়তে শুরু করে প্রেমিক নূরুল হক। অনেকদিন খোঁজ খবর না থাকায় শিউলি এসে উপস্থিত হয় নূরুল হকের বাসভবন বৈদ্যপাড়ার নির্ঝর ভিলায়। সেখানে এসে নূরুল হকের প্রকৃত ঘটনা জানতে পারে প্রেমিকা শিউলি। কিন্তু নূরুল হকও কৌশলে শিউলিকে চিন্তে না পারার ভ্ন করে। স্ত্রীল স্বীকৃতি চাইলে এক পর্যায়ে নূরুল হক ও তার ২য় স্ত্রী শিউলিকে মারধর করলে শিউলি বিষপান করে। পরে স্থানীয়রা শিউলিকে শেবাচিমে ভর্তি করে। উল্লেখ্য, নূরুল হকের গ্রামের বাড়ি মঠবাড়িয়া থানার কাজী বাড়ি। এ ঘটনায় বৈদ্যপাড়া এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।