রাস্তা কেটে রাস্তা নির্মান!

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সড়ক ও জনপদের রাস্তার ঢাল থেকে মাটি কেটে রাস্তার বর্ধিত অংশ নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারনে পথচারীসহ সাধারণ লোকজনের মাঝে রাস্তা কেটে রাস্তা নির্মানঅসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারি প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বারবার নিষেধ করা সত্বেও মাটি কাটার কাজ বন্ধ হয়নি।

জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গোপালগঞ্জ-আগৈলঝাড়া মহাসড়কের নির্মাণকাজ ২০০৯ সনে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু করে ফরিদপুরের সেঙ্গুইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী নামের প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্য দিয়ে সড়ক নির্মান কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু করার পর থেকে এ সড়কের নির্মাণ কাজের জন্য রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বের ঢালের মাটি কেটে ওই রাস্তার উত্তর পাশে বর্ধিত অংশ নির্মাণ করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তদারকির কাজে নিয়োজিত নিখিল চন্দ্র ওই মাটি কাটার কাজ করাচ্ছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ দেখার দায়িত্বে রয়েছেন সওজ’র ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট কুতুব মিয়া। তিনি মাটি কাটার কাজ দেখেও অজ্ঞাতকারনে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অন্যদিকে আগৈলঝাড়া-ঘোষেরহাট সড়কের দু’পার্শ্বের বর্ধিত অংশের নির্মান কাজ ২০১০ সনে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে মুলাদীর সাবেক এমপি প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা মাইদুল ইসলামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এন. এম কনসোর্টিয়াম কাজটি বাস্তবায়ন করে। ওই রাস্তার পার্শ্বের ঢালের মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার দলীয় এক প্রভাবশালী নেতা। দু’টি রাস্তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রভাবশালী ও সরকার দলীয় হওয়ায় সাধারণ লোকজন প্রতিবাদ করলেও মাটি কাটার কাজ বন্ধ হয়নি। এলাকাবাসির অভিযোগ, এভাবে রাস্তার পার্শ্ব থেকে মাটি কাটা হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় বড় ধরনের ধ্বসসহ ভাঙ্গন দেখা দেবে। ফলে যেকোন সময় পয়সারহাট থেকে ঢাকাগামী পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে সাধারণ লোকজনের চরম ভোগান্তিতে পরতে হবে।

এ ব্যাপারে সওজ বিভাগের এসও শিশির কুমার বড়াল বলেন, রাস্তার পাশ কেটে রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ করা যাবেনা। এরপূর্বেও আগৈলঝাড়া-ঘোষের হাটের রাস্তার পাশ থেকে মাটি কাটা নিষেধ করা হয়েছে। তারপরেও মাটি কাটা হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।