আগৈলঝাড়ার শিক্ষিকা শারমিন হত্যার স্বাক্ষ্য গ্রহন শুরু ১৬ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর প্রাথমিক শিক্ষিকা শারমিন আক্তার হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য নেয়া শুরু হবে আগামি ১৬ ফেব্র“য়ারি। ওইদিন স্বাক্ষ্য দেয়ার জন্য হাজির হতে পাঁচ স্বাক্ষিদের প্রতি সমন জারিরও আদেশ দিয়েছে বরিশালের একটি আদালত। গত মঙ্গলবার (৭ ফেব্র“য়ারি) বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ.কে.এম সলিমউল্ল্যাহ এ আদেশ দিয়েছেন। ওইদিন মামলার একমাত্র অভিযুক্ত আসামি ও যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন গোমস্তার উপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরুর জন্য চার্জ গঠন করেন আদালত। একই সাথে আসামির পক্ষে কোন আইনজীবি না থাকায় তার পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য বিচারক এ্যাডভোকেট সামসুদ্দিন খানকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

এজাহারে জানা গেছে, ২০১১ সনের ১২ অক্টোবর বিকেলে আগৈলঝাড়ার উপজেলার পূর্ব সুজনকাঠী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শারমিন আক্তার সুমু (২৭) বাসায় ফিরছিলো। উপজেলার গৈলা বাজার সংলগ্ন ব্রীজ এলাকায় তাকে ছুরিকাঘাত করে যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন গোমস্তা। শিক্ষিকা শারমিন আক্তার সুমুকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় শিক্ষিকার বাবা সরদার শাহজাহান বাদি হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনারদিনই আবুল গোমস্তাকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে। আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয় আবুল। সে স্বীকারোক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহন করে আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আলী আহম্মেদ একমাত্র আসামি আবুলকে অভিযুক্ত করে গত ৬ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্র গঠন করে স্বাক্ষ্য গ্রহনের দিন দার্য করেন জেলা ও দায়রার জজ। একই সাথে মামলার সাক্ষী, বাদি বাবা সরদার শাহজাহান, মাসুদা খানম, গোলাম ফারুক মিল্টন, নূপুর বেগম ও তানিয়াকে ধার্য্যর দিনে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য সমন পাঠানো হয়েছে।