হাউজিং কোম্পানীগুলো কুয়াকাটায় ভূমির দালাল চক্রের কাছে জিম্মি

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ সাগর কন্যা কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের ভূমির দালাল চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে হাউজিং কোম্পানী গুলো। তারা লাখলাখ টাকা দিয়ে জমি কিনে এখন দালাল চক্রের রোষানলে পরছে। ফলে এখানকার আধুনিকায়নে বড় বড় হাউজিং বা ডেভলপার কোম্পানী এগিয়ে আসছেনা। টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে দখলতো দূরের কথা উল্টো মামলার ঘানি মাথায় নিয়ে হয়রানীর হতে হচ্ছে তাদের।

সম্প্রতি কুয়াকাটার কাউয়ার চরে জমির দালাল চক্রের রোষানলে পড়েছে দেশের ক্ষ্যাত নামা প্রতিষ্ঠান বসুধা বিল্ডার্স লিমিটেডের বসুধা আইল্যান্ড। তারা ১২৮ একর ১০ শতক জমি ক্রয় করে এখন দালাল চক্রের রোষানলে পড়েছে। কুয়াকাটার অপর একটি হাউজিং কোম্পানী ’কুয়াকাটা এসেটস” এর মালিক অহেদুজ্জামান সোহেল’র মাধ্যমে ঐ জমি ক্রয় করে বসুধা বিল্ডার্স লিমিটেড। সোহেল প্রথমে বসুধাকে আংশিক জমি বুঝিয়ে দিলেও বাকি জমি আজ না কাল দেব দেব করে সম্প্রতিক সময়ে বসুধার অফিস ভাংচুর ও কর্মকর্তাদের মারধর করে ঐ জমি দখল নিয়ে নেয়। ঐ ঘটনায় বসুধা বিল্ডার্স লিমিটেড মামলা দায়ের করেছে। এর পরই অহেদুজ্জামান সোহেল নানান কৌশল হাতে নেয়। তারই ধারা বাহিকতায় গত ২ ফেব্রুয়ারী সোহেল কলাপাড়া থানায় বসুধা বিল্ডার্সের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জব্বার খান সহ ৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে।

এসব বিষয়ে কুয়াকাটা এসেটস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অহেদুজ্জামান সোহেল বলেন, কাউয়ারচর মৌজায় বিভিন্ন খতিয়ান থেকে ১২৮.১০ একর সম্পত্তি ক্রয় করে বসুধা কোম্পানীর কাছে বিক্রয় করেছি ঐ জমি বাবদ টাকা পাওনা রয়েছে সে কারনেই জমির দখল দেয়া হচ্ছেনা।  জমির দখল না দেয়ায় তারা আমার কর্মচারীদের ওপর হামলা করেছে সে ঘটনায় মামলা করেছি। তবে ঐ হামলার ঘটনায় বসুধার কোন কোন স্টাফ জড়িত ছিল তাদের নাম বলতে রাজি হননি সোহেল।

অপরদিকে বসুধা বিল্ডার্স এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ শাকিল আহাম্মেদ জানান, কুয়াকাটা এসেটস নামের প্রতিষ্ঠান আমাদের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানা ও আদালতে যে কয়টি মামলা করেছে যা ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বসুধা বিল্ডার্সের পক্ষ থেকে একাধিক বার  কুয়াকাটা এসেটস এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সোহেলকে বসুধার ক্রয় কৃত জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে এবং লিখিত ভাবে  নোটিশ দেয়া হয়েছে তাতে সে কোন  কর্নপাত করেনি। বরং ভিত্তিহীন মামলা করে, আমাদের কোম্পানীর সম্মান ক্ষুন্ন করার পায়তারা চালাচ্ছে। কুয়াকাটা এসেটস নিজেরা পরিকল্পিত ভাবে নাটক সাজিয়ে সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারী আমাদের কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ আট জনকে আসামী করে কলাপাড়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে যা ভিত্তিহীন। ঐ দিন আমাদের ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের আসুস্থ মা কে নিয়ে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ব্যাস্ত ছিলেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ আমরা তার পাশেই ছিলাম।

কাউয়ার চরে ২ ফেব্রুয়ারী সৃষ্ট ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাপাড়া থানার এসআই আনিচুর রহমান জানান, দুপুর ১২ টার দিকে ৪০/৫০ জন লোক এসে ঘটনা ঘটালো যা ঐ এলাকার কেউ টের পায়নি বা এ সম্পর্কে কিছুই জানেন, এমনকি ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে চিনতে পারেনি ওই সব লোকজন। তার মতে ঘটনাটি আসলে নাটক। ২ ফেব্রুয়ারী ঘটনার স্বাক্ষী আমজাদ বিশ্বাস জানান, কে বা কাহারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমি জানিনা। তবে নাম বলা যাবে না উপরের নিষেধ আছে।