সরকারে আজ্ঞাবহ কমিশন দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় – নতুন ইসি মানি না :খালেদা জিয়া

খোন্দকার কাওছার হোসেন ॥ নবগঠিত নির্বাচন কমিশনকে সরকারের আজ্ঞাবহ মন্তব্য করে বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, এ নির্বাচন কমিশন আমরা মানি না। দেশের মানুষের কাছে এই কমিশন গ্রহণযোগ্য নয়। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। তবে আওয়ামী লীগ আমাদের সময়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে লগি- বৈঠা নিয়ে ও বাসে গান পাউডার দিয়ে যে মানুষ মারার আন্দোলন করেছিল, আমাদের আন্দোলন সেরকম হবে না। আমরা ৬৯ ও ৯০ এর গণঅভ্যূত্থানের মতো আন্দোলন করবো। বর্তমান সরকারকে বিদায় করবো।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএনপি-জামাতপন্থি) বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন ২০১২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে এ কাউন্সিলে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব শওকত মাহমুদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস শহিদ, সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, নির্যাতিত সাংবাদিকদের মধ্যে কুমিল্লা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহীদুল্লাহ নিয়াজী, প্রথম আলোর সাবেক গৌরীপুর প্রতিনিধি সুপ্রিয় ধর, যশোরের লোক সমাজের প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনিসহ বিভিন্ন জেলার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, অধ্যাপক এম এ মান্নান, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ম-লীর সদস্য সৈয়দ দিদার বখত, জামাতে ইসলামীর কর্ম পরিষদের সদস্য মিয়া গোলাম পারওয়ার, মহানগর সম্পাদক নুরুল ইসলাম বুলবুল এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারাও নির্বাচন কমিশন নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। সেটা যদি দোষের না হয় তাহলে আমাদের দোষ হবে কেনো? আমরাও আন্দোলন করবো। তবে আপনাদের মতো লগি বৈঠা দিয়ে ও বাসে গান পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যার আন্দোলন করবো না। আমরা ৬৯ ও ৯০ এর গণঅভ্যূত্থানের মতো আন্দোলন করবো। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয়ার পরই আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা যেতে পারে।

তিনি আরো বলেন, আগামী ১২ মার্চ ঢাকায় ৪ দলীয় জোটের মহাসমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে ‘ওয়ার্নিং’ দেয়া হবে। সরকারকে বলব, এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া কিংবা পাল্টা কর্মসূচি দেয়ার চেষ্টা করবেন না। তা করা হলে আপনারা ভুল করবেন। ওই কর্মসূচি নিয়ে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সষ্টি হলে তার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।

খালেদা জিয়া বলেন, শুধু সাংবাদিকরাই নয়, সারাদেশের সব পেশার মানুষ সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। এ সরকার নির্বাচিত সরকার দাবি করলেও তারা নির্বাচিত সরকার নয়। কারণ নির্বাচিত সরকার এভাবে নির্যাতন করতে পারে না। তাই প্রমাণ হয়, এই সরকার নির্বাচিত কোনো সরকার নয়। তারা মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীনের পাতানো নির্বাচনের সরকার।

তিনি বলেন, এই সরকারের গত ৩ বছরে অনেক সাংবাদিক মারা গেছেন ও নির্যাতিত হয়েছেন। এটা আওয়ামী লীগের চরিত্র। আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ভয় পায় সাংবাদিকদের। কারণ  সাংবাদিকরা সত্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ছাপে। আর আওয়ামী লীগের কিছু লোক আছে তারা সরকারকে তেল দিয়ে চলে। তারা বিজ্ঞাপন পায়, ভালোভাবে চলে, কোনো সমস্যা হয় না।

তিনি বলেন, স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশের জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা বুঝেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর বন্ধ সংবাদপত্র চালু করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চালু করে দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের প্রেস ক্লাবের জায়গাসহ তাদের জন্য অনেক কিছু করেছিলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, আমি জানি সাংবাদিক ভাইয়েরা দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে আপনারা কষ্টে আছেন। কিন্তু এখন কিছু করার নেই। তাই সুযোগ পেলে আমরা ভবিষ্যতে আপনাদের জন্য করবো।

তিনি সরকারের প্রতি অবিলম্বে নতুন ওয়েজবোর্ড ও রোয়েদাদ ঘোষণা করার দাবি করেন। তিনি বলেন, যতদিনে ওয়েজবোর্ড না হবে ততদিন পর্যন্তু মহার্ঘ ভাতা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি মনে করি সাংবাদিকরা ভালো থাকলে দেশ ভালোভাবে চলবে। কারণ তাদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারবো কোথায় আমরা ভুল করছি। সব লিখলেই যে সত্য হবে তাও বিশ্বাস করি না। তবে যাচাই বাছাই করে দেখতে হবে কতটুকু সত্য লেখা হয়েছে।

খালেদা জিয়া বলেন, এখন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করা হয়েছে। দলীয় লোকদের বসানোর কারণে প্রশাসন চলছে না। এখন আবার নতুন করে দলীয় ক্যাডারদের বসানো হচ্ছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের  চেয়ারম্যান দলীয়। তারা দলের সব লোকদের চাকুরি দেবে। ফলে ভবিষ্যতে কি হবে বুঝতে পারছেন?

তিনি বলেন, তিন বছরে  দেশের মানুষকে এই সরকার কিছুই দিতে পারে নাই। যেসব ওয়াদা করেছিলো কোনো ওয়াদা পূরণ করতে পারে নাই। একজন সাংবাদিক বলেছেন, তার একমণ ধান উৎপাদনের খরচ হয় সাড়ে ৬শ টাকা আর বিক্রি করেন ৬শ টাকায়। তাহলে তারা যে বলেছিলো কৃষকদের বিনামূল্যে সার দেবে। কিন্তু কথা  রাখেনি।

তিনি বলেন, এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বই বাংলাদেশে না ছাপিয়ে অন্যদেশ থেকে ছাপিয়ে আনা হয়। আমরা যখন সরকারে ছিলাম তখন দেশেই বই ছাপানো হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বছরের প্রথমই বই দেয়া হয়েছে। এখন কেনো বিদেশ থেকে বই ছাপানোর দরকার হয়?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ৭২-৭৫ সালের ইতিহাস অনেক যুবক সাংবাদিকরা জানেন না। যারা ৭২-৭৫ এর আওয়ামী লীগের ইতিহাস জানবেন না তারা সত্যিকারের ইতিহাস জানতে পারবেন না। তাই সবাইকে আওয়ামী লীগের ইতিহাস জানতে হবে।

খালেদা জিয়া বলেন, দেশের যতকিছু উন্নয়ন হয়েছে সব বিএনপির সময়। স্কুল, কলেজ, মাদ্রসা, রাস্তাঘাট সব বিএনপির সময় করা হয়েছে। এরপর আর নতুন কোনো রাস্তাতো করাই হয়নি। পুরোনোগুলোও মেরামত করা হয় না। যা কিছু বরাদ্ধ হয় সব বিভিন্ন বাহিনীর হাতে চলে যায়। এখন তারা ব্যস্ত বড় বড় প্রজেক্ট নিয়ে। কারণ বড় প্রজেক্ট করলে বড় টাকা পাওয়া যায়। বিনা টেন্ডারে দলীয় লোকদের কাজ দেয়ার জন্য কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করা হলো। তাদের আত্মীয় স্বজনরা এসব টাকা নিয়ে গেলো। এই ঘটনা যারা লেখে সেই সব সাংবাদিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। মাহমুদুর রহমান তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির কথা লেখার কারণে তাকে শাস্তি পেতে হয়েছিলো।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় থাকতে এগুলো করিনি। এগুলি করা ভালো নয়। কিন্তু তারাতো আমাদের শিখিয়েছে। এখন তারা যে কাজ গুলি করছে তা যদি ভবিষ্যতে আমরা করি তখনতো এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ করতে পারবে না।

খালেদা জিয়া বলেন, অর্থমন্ত্রী বলছেন-দেশের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। আবার বকা খেয়ে পরক্ষণেই বলেন অর্থনীতি ভালো। এখন আমরা কোনটা বিশ্বাস করবো। নাকি বলবো অর্থমন্ত্রীর মাথা খারাপ।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছেন কেনো? যারা বস্তা বস্তা টাকা দিয়েছিলো তাদের কাছ থেকে নিতে পারেন না।
তিনি বলেন, এই সরকারের তিন বছরে দেশি-বিদেশি কোনো বিনিয়োগ নেই। যারা পুঁজি বিনিয়োগ করবে তারা ভয় পায়। লাভ তো দূরের কথা আসল থাকবে কি না সেই ভয় থাকে। তাই বিনিয়োগ করে না।

খালেদা জিয়া বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো তখনও শেয়ার বাজারে কেলেঙ্কারি হয়েছিলো। বহু টাকা লুটপাট করেছিলো। এবার ক্ষমতায় এসে ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীর টাকা লুট করে দেড় কোটি মানুষকে পথে বসিয়েছে। সেখানে বিনিয়োগকারীদের প্রতিবাদ করতেও দেয়া হয় না। আমরা তাদের পাশে আছি থাকবো।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্ত হয়েছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী দোষীদের নাম প্রকাশ করেননি। ওনারা প্রকাশ না করলেও মানুষের জানতে বাকি নেই। কারা এর সঙ্গে জড়িত, মানুষ তাদের নাম জানে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে ডলার কিনে বিদেশে পাচার করেছে। সে জন্য ডলারের দাম বেশি। ফলে মুদ্রাস্ফ্রীতি বাড়ছে, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। মানুষের কষ্ট দিন দিন বাড়ছে। গুম, খুন, নির্যাতন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি হয়েছে। তাহলে তারা মানুষকে ভালো কি দিয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ বলেছিলো চার আনা, আট আনায় চাল খাওয়াবে। ৭৪ সালে মানুষ যখন খেতে পায় না তখন গণভবনে খাবারের ছড়াছড়ি। এই কি নেতার কাজ। মানুষের নেতা এই কাজ করতে পারেন?

খালেদা জিয়া বলেন, মানুষ আওয়ামী লীগকে কখনো বিশ্বাস করে নাই। তাই বার বার তাদেরকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়েছিলো। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগামি দিনে যারাই ক্ষমতায় আসবে তাদের এই দেশ পরিচালনা করা কঠিন হবে। তারা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সেজন্য দেশের এমন অবস্থা করে দিয়ে যাবে যাতে অন্য কেউ দেশ চালাতে না পারে।

তিনি বলেন, আমরা তিন বছরে মাত্র ৮টা হরতাল করেছি। আর আওয়ামী আমাদের সময় ১৭৫টা হরতাল করেছে। আমরা একটা হরতাল দিলেই তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। রাস্তার পথচারীদেরও ধরে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, কুকুর কামড় দিলে যেমন জলাতঙ্ক হয়। তেমনি আওয়ামী লীগের এখন মানুষ দেখলেই আতঙ্ক হয়। তাদের এখন জনআতঙ্ক হয়। যখন বিদায় নেবেন তখন এই আতঙ্ক দূর হবে।

তিনি বলেন, গণমিছিলে সরকারের নির্দেশেই গুলি চালানো হয়েছে। হুকুম না দিলে কখনো গুলি চালাতে পারে না। এর জন্য দায় প্রধানমন্ত্রীর। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আর কত রক্ত নেবেন। কত মায়ের বুক খালি করবেন। কত বোনকে বিধবা করবেন? এগুলো বন্ধ করেন।

তিনি বলেন, সরকার যত নির্যাতন অত্যাচার করুক আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শুধু সাংবাদিকরাই নয় সারা দেশের মানুষ নির্যাতিত। দেশের স্বার্থ চিন্তা করে আমাদের এখন রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।

সাংবাদিকদের একটি নির্যাতন মঞ্চ বানানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আজ অনেক সাংবাদিক নির্যাতনের কাহিনী বলতে চেয়েছিলেন। সময়ের অভাবে পারেননি। আপনারা একটা নির্যাতনের মঞ্চ বানান। সেখানে আমাদের নেতারাও থাকবে। আমিও আসবো। সেখানে সবাই নির্যাতনের কাহিনী বর্ণনা করবে।

তিনি বলেন, বিডিআর এখন আর নেই। নাম কি দিয়েছে, মনে থাকে না। তারা এখন গার্ড হয়ে গেছে। গার্ড আর বর্ডার গার্ড একই কথা। তারা এখন সীমান্তে কোনো প্রতিবাদ করে না। প্রতিনিয়ত মানুষ ধরে নিয়ে যায়। অপরদিকে বিএসএফ বলছে হত্যা হয়েছে হত্যা হবে। মানে হত্যা চলতে থাকবে। সরকার কোনো প্রতিবাদ করার ক্ষমতা রাখে না। তারা প্রতিবাদ করার ক্ষমতা না রাখলেও আমরা প্রতিবাদ করবো। স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশ দেখতে চাইলে প্রথমেই সীমান্ত রক্ষা করতে হবে।

খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার অফিসের ভেতরে বিদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থার অফিস করা হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে ওই বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার অফিস সরিয়ে নেবার দাবি জানাই।

তিনি বলেন, আল্লাহর নাম বাদ দিয়ে মানুষ খুন, গুম, নির্যাতন করছেন। মৃত্যুর পর সবাইকে পুলসুরাত পার হতে হবে। সেখানে গেলে আর কিছুই করতে পারবেন না।

খালেদা জিয়া ৯০ দিন আগে ক্ষমতা হস্তান্তর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে আরো বলেন, এখনো সময় আছে, সঠিক পথে আসুন। মিথ্যা কথা বলা ও গালিগালাজ বন্ধ করুন। আন্দোলন এখনো শান্তিপূর্ণ আছে। আগামীতে আরো আন্দোলন কর্মসূচি আসছে। এ আন্দোলন আরো এগিয়ে গেলে আর সময় পাবেন না। তখন কোনো কথা বললে আমরা মানতে পারবো না। কারণ, তখন আন্দোলন চলে যাবে জনগণের হাতে। জনগণকে তখন আর থামিয়ে রাখতে পারবেন না।

তিনি আগামি ১২ মার্চ চলো চলো, ঢাকা চলো কর্মসূচিতে সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।