অবশেষে বরিশালের আগুনেই পুড়লো সিলেট রয়্যালস

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ নেতার পরিবর্তনেও ভাগ্য বদল হয়নি সিলেটের। টানা ছয় ম্যাচ হেরে বিপিএল প্রতিযোগিতায় পরবর্তী ধাপে খেলায় তাদের স্বপ্ন শেষ, নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি সিলেট রয়্যালস। পিটার ট্রেগোর বদলে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অলক কাপালীও হাসতে পারেনি মাঠে। হারের বৃত্তে আটকে পড়া সিলেটকে আজ ৯ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল বার্নার্স।

সহজ জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেটের বোলারদের তুলোধুনো করেছে বরিশাল বার্নার্স। তাদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে ১১৬ রানে গিয়ে। আহমেদ শেহজাদ অর্ধশতক হাঁকানোর পর সাজঘরে ফেরেন। পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার ৩টি চার ও ৫টি ছয়ের সাহায্যে ৬০ রান করেন।

তার বিদায়ের পর ব্রাড হগের হার না মানা ৫৪ রানের সুবাদে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল। ইনিংসে ২টি চার ও ৫টি ছয়ের মার ছিলো তার।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেট রয়্যালসের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অলক কাপালী। নিয়মিত অধিনায়ক পিটার ট্রেগোর বদলে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এই অলরাউন্ডার।

খেলতে নেমে বরিশাল বার্নার্সের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা সিলেট। ব্যক্তিগত ১৭ রানে কামরান আকমলকে সাজঘরে ফিরিয়ে সিলেটের ইনিংসে ধ্বংসের সূচনা করেন আমিন হোসেন। এরপরই শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসার মিছিল।

ইমরুল কায়েস ১৩, টম মাইনার্ড ১১, রাজা আলী ৮, অলক কাপালী ১ ও শুভাগত হোম সাজঘরে ফেরেন ৪রান করে। পরপর উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা সিলেট রয়্যালসকে রানের দেখা দেন সোহেল তানভির ও নাঈম ইসলাম। সপ্তম উইকেটে এসে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা। শেষপর্যন্ত তানভিরের ৩৩ ও নাঈমের অপরাজিত ২২ রানের সুবাদে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২০ করতে সমর্থ হয় সিলেট।

৬ ম্যাচে বরিশাল বার্নার্সের পয়েন্ট ৬। সমান ম্যাচে সিলেটের সংগ্রহ শূন্য।

সিলেট রয়্যালস : ১২০/৭ (ওভার ২০)
বরিশাল বার্নার্স : ১২১/১ (ওভার ১৩.২)
ফল: বরিশাল ৯ উইকেটে জয়ী