সংবাদ সম্মেলনে গৌরনদী পৌর মেয়র হারিছ – আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ কারো জমি দখল করেননি – তার নিজস্ব সম্পত্তিতে বাউন্ডারী ওয়াল করেছেন

গৌরনদী সংবাদদাতা ॥ জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে গৌরনদীর পৌর জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন গৌরনদী পৌর মেয়র মো: হারিছুর রহমান। বাম পাশে গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার মো: ইউনুস সহ ডান পাশে গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান- Gournadi.comমেয়র মেয়র হারিছুর রহমান হারিছ দাবি করেছেন, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ নিজের জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল তেরী করেছেন, পরের জমি দখল করেননি।

আজ রোববার সকালে গৌরনদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পৌর মেয়র হারিছুর রহমান বলেন, গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের কলেজ মসজিদের সম্মুখে সিএন্ডবি রাস্তার সীমানা পর্যন্ত জায়গাটির প্রকৃত মালিক ছিলেন শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত। তিনি জীবিত থাকাকালীন তাঁর ওই জায়গার একটি অংশে ১৯৭৫ সালে শহীদ স্মৃতি পাঠাগার স্থাপন করেন এবং ঐ অংশটুকু পাঠাগারের নামে দান করেন। ঐ সময় পাঠাগারের সম্মুখে একটি অডিটরিয়াম নির্মিত হয়। যা এখনও তার জায়গায় অবস্থিত। যদিও অডিটরিয়ামের পক্ষে কোন কাগজপত্র নাই। শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত এর মৃত্যুর পর তার উত্তরশুরী হিসেবে নিয়মানুযায়ী জেষ্ঠ্য পুত্র আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর নামে জায়গাটির রেকর্ড হয়।

১৯৯৬ সালে আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুলাহ যখন জাতীয় সংসদের চীফ হইফ ছিলেন তখন জনগনের দাবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজস্ব জায়গার একটি অংশ কলেজ মসজিদের সামনে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান নির্মানের জন্য দান করেন। যা বর্তমানে গৌরনদীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধু তাই নয় ঐ সময় তিনি গৌরনদী কলেজের ছাত্রদের আবাসিক সমস্যা নিরসনের জন্য উত্তর বিজয়পুর মৌজার একটি সরকারি জায়গা প্রাণান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সরকার থেকে কলেজের নামে ১ একর ০৮শতাংশ ভূমি এনে তাতে নিজ অর্থায়নে কলেজ হোস্টেল করে দেন। তিনি আরো বলেন, গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর নামে মোট রেকর্ডকৃত ভূমির পরিমাণ ৮৮শতাংশ। সম্প্রতি তাঁর জায়গাটি সংরক্ষনের জন্য তিনি বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করার উদ্যোগ নিলে তাঁর জায়গায় যে সমস্ত দোকানদারদের অবৈধ স্থাপনা ছিল তা তারা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয় এবং দোকানদাররা তাঁর কাছে আবেদনের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করেন। সম্প্রতি গৌরনদী কলেজ মসজিদের মুসুল্লীরা ওযু খানার দাবী করলে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ তাঁর জায়গার পশ্চিম পার্শ্বের একটি অংশ ওযু খানার জন্য দান করেন ও ইতি মধ্যে নিজ অর্থায়নে ওযু খানার নির্মানের কাজ শুরু করেন। শুধু তাই নয় গৌরনদী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা তাদের নিজস্ব ভবন না থাকায় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর নিকট ভবন নির্মানের জন্য কিছু জায়গা দান করার আবেদন জানালে তিনি স্ব-হৃদয় হয়ে গত কয়েক দিন পূর্বে স্থানীয় সাংসদ তালুকদার মোঃ ইউনুস, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ আলম খান, পৌর মেয়র হারিছুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুন নাহার মেরীসহ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সংদস্যদের উপস্থিতিতে একটি অংশ প্রেসক্লাবের ভবন নির্মানের জন্য দান করেন যা জাতীয় পত্র-পত্রিকা সহ গৌরনদীর ওয়েব গৌরনদী ডটকমে ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময় অর্থাৎ ২০০৪ইং সালে গৌরনদী বিএনপির নেতা কর্মীরা যখন ঐ জায়গার একটি অংশ দখল করে তাদের দলীয় অফিস নির্মান করতে যান তখন প্রশাসনের বাঁধার কারণে তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। যা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে ২য় বার চেষ্টা করলে সমাজের বিবেক সাংবাদিক ভাইয়েরা বরিশাল থেকে এসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে ভূমি অফিসের রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করে যখন মালিকানা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর নামে দেখতে পান তখন তারাই সেই সময় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর পক্ষে ও অবৈধ অফিস স্থাপনের বিপক্ষে সংবাদ পরিবেশন করেন। যে কারণে ওই জায়গা থেকে বিএনপির অফিস সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। কাগজ পত্র ও রেকর্ড অনুযায়ী যে জায়গার প্রকৃত মালিক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। ইতি মধ্যে তার বাবা এবং তিনি ওই জায়গার বিভিন্ন অংশ গৌরনদী শহীদ স্মৃতি পাঠাগার, ঈদগাহ ময়দান, গৌরনদী প্রেসক্লাব, গৌরনদী কলেজ মসজিদের ওযূ খানা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের নামে দান করেছেন। তিনি তার জায়গা সংরক্ষনের জন্য বর্তমানে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করছেন। যে জায়গার ব্যাপারে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আপত্তি ও দাবীনামা নাই। তাহলে কেন বিভিন্ন পত্রিকায় বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে বিব্রত করা হচ্ছে এটা সচেতন সাংবাদিক ভাইদের নিকট প্রশ্ন?

আমরা সমাজের সচেতন নাগরিক হিসাবে মনেকরি সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। সত্য ও ন্যায় নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করাই তাদের কাজ। যেহেতু আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সম্পর্কে সকলে অবগত আছেন যে, তিনি গণমানুষের নেতা। জনগনের কল্যাণ সাধনই তাঁর ব্রত। তিনি জীবনের শুরু থেকে অদ্যবধি জনগনের কল্যাণে তথা এই অঞ্চলের গরীব, দুঃখী ও মেহনতী মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। যে কারণে তার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় ঈর্ষার্নিত একটি মহল ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে এই সমস্ত প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আমরা এই সমস্ত অপপ্রয়াসের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাই এবং সাংবাদিক ভাইদের নিকট প্রকৃত সত্য পত্রিকায় উপস্থাপন পূর্বক বিভ্রান্তি দূর করার জোর দাবী জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম খান, আগৈলঝাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মূর্তজা খান, গৌরনদী ভাইসচেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা কালিয়া দমন গুহ, এইচ এম জয়নাল আবেদীন, রাজু আহম্মেদ হারুন, মনির হোসেন মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, গোলাম হাফিজ মৃধা সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রকাশিত খবর : আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে সওজ ও শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের চার কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মানের অভিযোগ – রেহাই পায়নি ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা – বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মার্কেটে প্রবেশের ৩০ বছরের গেট