দরবার শরীফের পীরদের নিয়ে কটুক্তি করায় – গৌরনদীতে দু’গ্রুপ মুসল্লীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ হাজীগঞ্জ দরবার শরীফের পীরসহ অন্যান্য পীরদের নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে দু’গ্রুপ মুসুল্লীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার টরকী বন্দর এলাকায়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, টরকী বন্দরের আদর্শ জামে মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মুফতী মোঃ মঈন উদ্দিন গত বৃহস্পতিবার বাদ এশা মসজিদে বয়ান করার সময় হাজীগঞ্জ দরবার শরীফের পীরসহ অন্যান্য পীরদের নিয়ে কটুক্তি ও হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর হাজের-নাজের যারা মানে তারা কাফের বলে বয়ান করেন। পর্যায়ক্রমে এখবর পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পরলে হাজীগঞ্জ দরবার, আটরশী, ভান্ডার শরীফ ও চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফের মুরীদরা ক্ষিপ্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার বাদ এশা হিযবুর রসুল (সঃ) গৌরনদী শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রবের সভাপতিত্বে ক্ষুব্ধ সুন্নী গ্রুপের ব্যানারে টরকী বন্দর তহসিল অফিস জামে মসজিদে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ইমামের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন মিয়ার বাসভবন ঘেরাও করা হয়।

খবর পেয়ে ইমামের সমর্থক ও ওহাবী গ্র“পের শতাধিক মুসল্লীরা লাঠি সোটা নিয়ে পাল্টা মিছিল বের করেন। টরকী বন্দর চেয়ারম্যান গল্লিতে উভয় গ্র“প মিছিল নিয়ে মুখোমুখী অবস্থান করলে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় বন্দরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গৌরনদী থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। সুন্নী সমর্থক মোঃ মামুন সিকদার, মিন্টু মাঝি, মাওলানা আবুল খায়ের অভিযোগ করেন, ইমাম মুফতী মঈন উদ্দিন দু’মাস পূর্বে এ মসজিদে যোগদান করেছেন। যোগদানের পর থেকে তিনি কোরআনের তাফসিরের নামে পীরদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কটুক্তি ও নবী করিম (সঃ)-কে নিয়ে অপব্যাখা দিয়ে আসছেন। এছাড়া তিনি একটি লিফলেটও বিতরন করেছেন। যে কারনে অধিকাংশ মুসল্লী তার পিছনে নামাজ পড়া বন্ধ করে দিয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে পেশ ইমাম আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মুফতী মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, অপব্যাখ্যা নয়, পবিত্র কোরআনুল কারিমের ধারাবাহিক তাফসিরের আলোকে বিদয়াত ও শিরক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন মিয়া বলেন, ইমামকে নিয়ে দু’দল মুসল্লীদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিলো যা সমাধানের জন্য মীমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম জানান, টরকী বন্দরে উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।